সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
রবিবার ● ২৪ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » আইসিটি জার্নাল » নীরব ঘাতক স্মার্টফোন!
প্রথম পাতা » আইসিটি জার্নাল » নীরব ঘাতক স্মার্টফোন!
১৩৮৫ বার পঠিত
রবিবার ● ২৪ নভেম্বর ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

নীরব ঘাতক স্মার্টফোন!

---

সারাবিশ্ব মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৯ সালের মধ্যেই সারা বিশ্বে প্রায় ২শ ৭০ কোটি মানুষ স্মার্টফোন ডিভাইস ব্যবহার করবে। একই সঙ্গে মোবাইল ফোনের ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৪শত ৬৮ কোটি মানুষ, যা বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় ৬৭ শতাংশ।

জিএসএমএ ইন্টেলিজেন্স প্রকাশিত বৈশ্বিক তথ্যানুযায়ী, সারাবিশ্বে মোবাইল ব্যবহারকারীদের মোট পরিসংখ্যান ইতোমধ্যে পাঁচ বিলিয়নের মাইলফলকে পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশে ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৫ কোটি ৮৪ লাখ ৩৮ হাজার মোবাইল নম্বর নিবন্ধিত হয়েছে, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৯৭.২৩ শতাংশ।

অবশ্যই মোবাইল ফোন, বিশেষত স্মার্টফোনগুলোতে পরিবার ও কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে তাত্ক্ষণিক যোগাযোগ, নেটওয়ার্ক তৈরি, বিনোদন, ক্যামেরা, জিপিএস, শিক্ষা, ডাটা সংরক্ষণ, গোপনীয়তা, বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ইত্যাদির অবিশ্বাস্য সুবিধা রয়েছে। তবে মানুষজন নানা ধরনের অ্যাপনির্ভর স্মার্টফোনগুলোতে দিন দিন প্রচণ্ড পরিমাণে আসক্ত হয়ে পড়ছে, যা তাদের স্বাস্থ্যের ওপর বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।
আসুন, জেনে নেই কিভাবে আপনার স্মার্টফোন আপনাকে নীরবে ঘাতকের ভূমিকায় রয়েছে-

• চোখের ওপর চাপ

টাইপ অথবা কিছু পড়ার সময় লোকজন প্রায়ই স্মার্টফোনের ছোট পর্দার ফন্টের দিকে দীর্ঘসময় ধরে তাকিয়ে থাকে, যা চোখের জন্য ক্ষতিকারক। যদি এরকম নিয়মিতভাবে করতে থাকে, তবে এর কারণে চোখে ঝাপসা দেখা, চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়া, চোখের ওপর চাপ, মাথা ঘোরানো ইত্যাদি হতে পারে।

চোখের ওপর ক্ষতির ঝুঁকি কমাতে মুখ থেকে ন্যূনতম ১৬ ইঞ্চি দূরত্বে মোবাইল ফোনের স্ক্রিন রাখার পরামর্শ দেয়া হয়। এছাড়া আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় প্রতি ২০ মিনিটের পর কিছুটা বিরতি নেয়ার চেষ্টা করুন এবং মোবাইলস্ক্রিন থেকে আপনার দৃষ্টি কোনো দূরের স্থানে স্থানান্তর করুন। চোখে কোনো ধরনের চাপ অনুভব করলে, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

• ব্রেইন ক্যান্সারের ঝুঁকি

আপনি হয়তো জানেন যে, মোবাইল ফোনে ক্ষতিকর ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন রয়েছে। ক্যান্সার বিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মাইক্রো ওয়েভ রেডিয়েশনের প্রভাবের অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের ব্রেইন টিউমার বা ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এজন্য ব্রেইন টিউমার বা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে দীর্ঘসময় ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা উচিৎ নয়।

• ঘাড় ও পিঠে ব্যথা

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা তাদের স্ক্রিনে টানা কয়েক ঘণ্টা ধরে ইন্টারনেট বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্রাউজ করতে থাকে। এসময় দীর্ঘক্ষণ একইরকমভাবে বসে বা শুয়ে থাকার কারণে ঘাড় ও পিঠের পেশীতে টান পড়তে পারে। ঘাড় ও পিঠে ব্যথার ঝুঁকি থেকে মুক্তি পেতে স্মার্টফোন ব্যবহার করার সময় আপনার শরীর ও মেরুদণ্ড সঠিকভাবে রাখুন।

• ঘুমের ব্যাঘাত

অতিরিক্ত মোবাইল ফোনের প্রভাবে আরেকটি নেতিবাচক প্রভাব হচ্ছে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা। লোকজন প্রায়শই বিছানায় শুয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্রাউজ করতে ব্যস্ত থাকে, যার ফলে দেরিতে ঘুমায়। আবার ঘুমানোর পর মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ, ইমেইলসহ বিভিন্ন নোটিফিকেশনের শব্দও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।

এই বদভ্যাস ঘুমের ব্যাঘাত ঘটনার সাথে সাথে অনিদ্রা বা ইনসোমোনিয়োর মতো ঝুঁকির দিকেও মানুষকে নিয়ে যায়। অনেকে আবার অ্যালার্ম সেট করে রাতে ফোনটি মাথার কাছে রাখে। ফোনের মাইক্রো-ওয়েভ রেডিয়েশনের মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত করে ক্যান্সার বা টিউমার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়াও নিয়মিত ঘুমের ব্যাঘাত, মাথা ঘোরা, হতাশা, মেজাজ খারাপ হওয়া, উদ্বেগ এবং আরও অনেক শারীরিক ও মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

পর্যাপ্ত ঘুম ভালো শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য অন্যতম প্রধান প্রয়োজন। তাই বিছানায় যাওয়ার পর আপনার স্মার্টফোনে ওয়েব ব্রাউজিং বা ভিডিও এবং সিনেমা দেখা বন্ধ করা উচিৎ। ঘুমের সময় মোবাইল ফোনটি শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থেকে দূরে রাখতে ভুলবেন না।

• পুরুষের বন্ধ্যাত্ব

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, স্মার্টফোন পকেটে রাখলে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায়। মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন শুক্রাণুর পরিমাণ, সংখ্যা ও ঘনত্ব হ্রাস করতে পারে। তবে মোবাইল ফোন ব্যবহারে নারীদের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসের বিষয়ে কোনো শক্ত প্রমাণ পাওয়া যায় নি। সুতরাং পুরুষদের সারাক্ষণ পকেটে স্মার্টফোন রাখার বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিৎ।

• জীবাণু আক্রমণের ঝুঁকি

একটি মোবাইল ফোনের স্ক্রিন টয়লেটের চেয়েও বেশি জীবাণু ধারণ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে ই. কোলির মতো ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া রয়েছে, যার কারণে ডায়রিয়া, জ্বর, সংক্রমণ, বমি ইত্যাদি হতে পারে। বিশেষ করে শিশুরা মুখ স্মার্টফোনের স্ক্রিন চুষতে থাকে, যার মাধ্যমে তাদের শরীরে জীবাণু প্রবেম করতে পারে। বিভিন্ন রোগও ছড়াতে পারে। সুতরাং, আপনার বাচ্চাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখা উচিৎ। নিয়মিত মোবাইল ফোনের স্ক্রিনটি পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।

সর্বোপরি বলা হয়, বিশ্বব্যাপী মানুষ খুব দ্রুত গতিতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা চালিয়ে গেলে শিগগিরই মানুষের চেয়ে মোবাইল ফোনের সংখ্যা বেড় যাবে। এটাও সত্য যে, বর্তমান বিশ্বে মোবাইল ফোনের বিভিন্ন সুবিধার কথা আমরা অস্বীকার করতে পারি না। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে কাজ, পড়াশোনা, বিনোদন বা সামাজিকীকরণের চেয়েও স্বাস্থ্য অত্যন্ত মূল্যবান। সুস্থ শরীর ও মন বজায় রাখার জন্য ভালো ঘুমের বিকল্প নেই। এজন্য মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। এর পরিবর্তে আমরা পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারি এবং পরিবার ও বন্ধুদের সাথে ভালো সময় কাটাতে পারি।- ইউএনবি



পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
থাইল্যান্ডে ইউএন এসকাপ-এর ৮০তম সম্মেলনে সভাপতির দায়িত্বে প্রতিমন্ত্রী পলক
আইসিসি টুর্নামেন্টের ডিজিটাল সম্প্রচার স্বত্ব পেল টফি
গ্রাহকের ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের স্বপ্ন পূরণ করলো রিয়েলমি
বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির আয় ২৫১৬.২ কোটি টাকা
ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ও এপেক্স ডিএমআইটি লিমিটেডের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি
বেসিস নির্বাচনের প্রার্থী পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত
ইউএন এসকাপ সম্মেলনে বাংলাদেশের আয়োজনে স্মার্ট উদ্ভাবন বিষয়ক সাইড ইভেন্ট অনুষ্ঠিত
উবারের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড ইনডেক্সের ৮ম সংস্করণ প্রকাশ
চ্যাম্পিয়ন বরিশালকে নগদের ২০ লাখ টাকা উপহারের চেক হস্তান্তর
মানা বে ওয়াটার পার্কে বিকাশ পেমেন্টে ১০% ডিসকাউন্ট