সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, মে ১৪, ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
রবিবার ● ২২ জানুয়ারী ২০১২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » হারিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী কোডাক
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » হারিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী কোডাক
৪৯০ বার পঠিত
রবিবার ● ২২ জানুয়ারী ২০১২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

হারিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী কোডাক

 কোডাক

কোডাক নামটি শুনলেই কানে বাজবে ‘হ্যাভ এ কোডাক মোমেন্ট’ কথাটি৷ দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী কোডাক কোম্পানি নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে৷ কোডাক ফিল্ম আর ক্যামেরার সঙ্গে পরিচিত নন এমন মানুষ কিন্তু কমই পাওয়া যাবে৷

ডিজিটাল ক্যামেরা আসার আগে কোডাক এবং ফুজি ফিল্ম দখল করে রেখেছিল ফটোগ্রাফির যুগকে৷ পেশাগত হোক আর সৌখিন হোক - প্রতিটি ফটোগ্রাফার কোডাক ফিল্মের সঙ্গে পরিচিত৷ হ্যান্ড ক্যামেরার যুগে ফিল্ম কিনতে হতো৷ সেটা হতো হয় ফুজি নয়তো কোডাক৷ সেই কোডাক কোম্পানি নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে৷ বিদায়ের ঘন্টাধ্বনি বেজেছে কোডাকের৷

বিংশ শতাব্দীতে কোডাক ফিল্ম ছাড়া ক্যামেরার কথা ভাবাই যেত না৷ প্রজন্মের পর প্রজন্ম কোডাক্রম ফিল্ম ব্যবহার করেছেন৷ সারা বিশ্বে কোডাক নামটি পেয়েছে পরিচিতি, কুড়িয়েছে সুখ্যাতি৷ নিউ ইয়র্কের বিএ্যান্ডএইচ ফটো কোম্পানির যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক হেনরি পসনার আক্ষেপের সঙ্গে বলেন,‘‘কোডাক ফিল্মকে আমরা ভীষণবাবে মিস করবো৷ কোডাক ফিল্ম থাকবে না, এর প্রভাব পড়বে প্রতিটি ফটোগ্রাফারের জীবনে, পেশায়৷ আপনি প্রফেশনাল বা অ্যামেচার যাই হননা কেন কোডাক ফিল্মের অনুপস্থিতি আপনি অনুভব করবেনই৷” কথাটা সত্যি৷

১৮৮০ সালে জর্জ ইস্টম্যান একটি স্পুলের চারপাশে একটি ফিল্ম জড়িয়ে প্রথম পরীক্ষা চালান৷ ১৮৯২ সালে নিউ ইয়র্কের রচেস্টারের বাজারে তিনি নিয়ে আসেন ইস্টম্যান কোডাক ফিল্ম৷ এই ফিল্ম বিক্রির জন্য কোম্পানি খুব কম মূল্যে বাজারে ছাড়ে বিশেষ ধরণের ক্যামেরা৷ নাম কোডাক ব্রাউনি৷ সাধারণ মানুষের জীবনে শুরু হয় ক্লিক ক্লিক, প্রতিটি আনন্দঘন মুহূর্তকে একটি ক্লিকের মাধ্যমে ধরে ফেলতে থাকে কোডাক ফিল্ম এবং কোডাক ক্যামেরা৷

কোডাকের বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের মধ্যে অন্যতম হল ,‘আপনি শুধু শাটার টিপুন, বাকি কাজ আমাদের!’৷ বিজ্ঞাপনের এই বার্তা লুফে নিয়েছিল গোটা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ৷

১৯৩২ সালে ইস্টম্যান আত্মহত্যা করেন৷ কিন্তু থেমে থাকেনি কোডাকের যাত্রা৷ ফিল্ম এবং ক্যামেরার পাশাপাশি, প্রজেক্টর, হোম ভিডিও এবং এইট মিলিমিটার মুভি প্রজেক্টর তৈরিও শুরু হয়৷ এরপর বাজারে আসে আরেক ধরণের বিজ্ঞাপন,‘কোডাক মোমেন্ট’৷ আনন্দঘন প্রতিটি মুহূর্তের নাম হয়ে যায় কোডাক মুহূর্ত৷

১৯৮০-র দশকে সাফল্যের একেবারে তুঙ্গ মূহূর্তে কোডাকের কর্মী সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় লাখের মত৷ ১৯৬০-এর দশকে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা ন্যাসার চন্দ্র প্রক্ষিণকারী যানগুলো কোডাক ফিল্মেই ধরে আনে চন্দ্রপৃষ্ঠের প্রথম কিছু ছবি৷ চাঁদে হেঁটেছিলেন প্রথম যে-নভোচারীরা, তারা জুতোর বাক্স সাইজের কোডাক ক্যামেরা দিয়ে তুলেছিলেন তাদের ঐতিহাসিক মহাকাশযাত্রার বিরল ছবি৷

শুধু তাই নয়, হলিউডের অসংখ্য ছবি নির্মাণেও কোডাকের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য৷ ‘বেস্ট পিকচার্স’-এর তালিকায় ৯টি অস্কার জিতেছে কোডাক৷ সবই ছিল বৈজ্ঞানিক ও প্রাযুক্তিক উদ্ভাবনার স্বীকৃতি৷

কোডাকের জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার কমতে থাকে যখন বাজারে ডিজিটাল ক্যামেরা আসে৷ কোডাক কোম্পানি নিজেই প্রথম ডিজিটাল ক্যামেরা তৈরি করেছিল কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে তা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি৷ ডিজিটাল ক্যামেরাই যে সবার মন এবং সময়কে এভাবে জয় করবে তা টের পায়নি কোডাক৷ বিশেষ করে এশিয়ার মার্কেটে কোডাক প্রচণ্ডভাবে মার খায়৷ এভাবেই হারিয়ে যাচ্ছিল কোডাক৷ আজ কোডাক সত্যিই হারিয়ে গেছে৷ শুধু বলছে, আনন্দঘন মুহূর্তে আমি ছিলাম, মনে রেখ৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আব্দু্ল্লাহ আল-ফারূক



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
ভবিষ্যৎ স্মার্ট নাগরিক এবং লিডারশিপ তৈরির ক্ষেত্র হবে ডিআরএমসি: প্রতিমন্ত্রী পলক
সিংড়ায় ডিজিটাল পল্লী: স্মার্ট ভিলেজ এক্সপো অনুষ্ঠিত
২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে ভিসিপিয়াব নির্বাচন
বাংলাদেশে টিকটকের বিজ্ঞাপন সুবিধা চালু
মায়েদের জন্য ডায়মন্ড জেতার সুযোগ দিচ্ছে পাঠাও
অ্যামেক্স, সিটিম্যাক্স কার্ড থেকেও অ্যাড মানি করা যাচ্ছে বিকাশে
উবার এবং বিআরটিএ’র যৌথ উদ্যোগে সচেতনতা প্রোগ্রাম
লেক্সার সেলিব্রেশান নাইট ২০২৪ অনুষ্ঠিত
আবারও বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ
ময়মনসিংহ বিভাগে আইএসপিএবি-নিক্স উদ্বোধন