সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
সোমবার ● ২১ জানুয়ারী ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » আবারও সমস্যার মুখোমুখি অ্যাপল
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » আবারও সমস্যার মুখোমুখি অ্যাপল
৪৮৮ বার পঠিত
সোমবার ● ২১ জানুয়ারী ২০১৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আবারও সমস্যার মুখোমুখি অ্যাপল

আবারও সমস্যার মুখোমুখি অ্যাপল১৯৮০’র দশকে যেভাবে অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের পিসির কাছে কম্পিউটার বাজার হারিয়েছিল; দুই দশক পরে এসে ঠিক একই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি অ্যাপল। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, নিজেদের সফটওয়্যার আর হার্ডওয়্যার নিয়ে অতি রক্ষণশীলতাই নতুন করে বিপদ ডেকে আনতে পারে বিশ্বের শীর্ষ কোম্পানিটির জন্য। খবর সিএনএনের।

ব্যক্তিগত কম্পিউটারের ধারণা প্রথম নিয়ে আসে অ্যাপল। আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পায় ম্যাক সিরিজের কম্পিউটারগুলো। কিন্তু নিজেদের হার্ডওয়্যার-সফটওয়্যার বাইরের কারো কাছে প্রকাশে চরম অনীহা ছিল অ্যাপলের। এমনকি ম্যাকের উপযোগী সফটওয়্যার ও অ্যাপ্লিকেশন বানাতে আগ্রহীদের উত্সাহে ভাটা পড়ানোতেও দ্বিধা করেনি কোম্পানিটি। অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নকারীদের প্রস্তুত করা প্রোগ্রামগুলো যতক্ষণ পর্যন্ত অ্যাপলের মানের না হতো, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো ছাড় দিত না প্রতিষ্ঠানটি। এজন্য বিরক্ত হয়ে অনেক ডেভেলপার মাইক্রোসফটের দিকেই ঝুঁকে পড়ে। আর তারই সুযোগে আইবিএমের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের অপারেটিং সিস্টেম এবং হার্ডওয়্যার সংবলিত পিসি দিয়ে বাজার মাত করে দেয় মাইক্রোসফট।
হারানো উন্মাদনা আবারো ফিরে পেয়েছে অ্যাপল; আইপড, আইফোন, আইপ্যাডের বদৌলতে। সেসঙ্গে আইটিউনস দিয়ে ডিজিটাল সঙ্গীতের জগতে নিয়ে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। সিইএস মেলায় কখনো অংশ নেয় না অ্যাপল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, পাঁচ বছর ধরে সিইএস মেলায় না থেকেও অ্যাপলেরই জয়জয়কার। হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানি ছাড়া বাকি সবাই অ্যাপলের আইফোন কিংবা আইপ্যাডের উপযোগী যন্ত্রাংশ তৈরিতেই বেশি আগ্রহী।

আইফোন বিক্রি করে অকল্পনীয় আয় করছে অ্যাপল। অন্যান্য কোম্পানির জন্য যেটা রীতিমতো স্বপ্নবিলাস। আইটিউন দিয়ে গায়ক কিংবা মিউজিক কোম্পানি লাভবান হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু লাভের গুঁড়টা ঠিকই নিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম কোম্পানিটি। আবার অ্যাপ্লিকেশন নামের যে ধারণা, সেটার পুনর্জন্ম দিয়ে তথ্যজগতের আধিপত্য নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছে তারা।
এ খাতগুলো থেকে এত বেশি আয় করছে কোম্পানিটি যে, নগদ অর্থ দিয়ে কী করবে সেটাই ভেবে পাচ্ছে না অ্যাপল কর্তৃপক্ষ। গত বছর সব দেনাপাওনা, লভ্যাংশ দেয়ার পরও কোম্পানিটির নগদ ১০ হাজার কোটি ডলার থেকে যায়। আর বাজার মূল্যে ছাড়িয়ে যায় বিশ্বের বাকি সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে।
এদিক দিয়ে হিসাব করলে অ্যাপলের তুলনা অ্যাপল নিজেই। সমস্যা হচ্ছে ম্যাক কম্পিউটার বাজারে আনার পর একই ধরনের রমরমা অবস্থা ছিল কোম্পানিটির। এখন আইফোন, আইপ্যাডের উন্মাদনাও সেই আগের মতোই।

কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। আইফোন-৫-এর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন ভক্তরা। তার বদলে এল আইফোন ৪এস। সেটাও বাজার মাত করল আগের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেই। এর পর গত বছরের শেষ দিকে বাজারে ছাড়া হলো আইফোন-৫। প্রথম ২৪ ঘণ্টতেই বিক্রি হলো স্মার্টফোনটির ২০ লাখ ইউনিট। স্মার্টফোন তো দূরে থাক, অনেক ফিচার ফোনের কপালে সারা জীবনে এত বিক্রি জোটেনি। এর পরেই নেমে এসেছে সূক্ষ্ম মন্দা। এতো উন্নত আইফোনের বিক্রি ঠিক আগের মতো হচ্ছে না। তার মানে এই নয় যে, বিক্রি একেবারেই কমে গেছে। বরঞ্চ যেভাবে আগের আইফোনগুলোর বিক্রি প্রবৃদ্ধি বেড়েছিল, ঠিক সেভাবে হচ্ছে না।
স্মার্টফোনের বাজারে গত বছরের শুরুর দিকে আইফোনের বাজার দখল ছিল ২৩ শতাংশ। সেটা তৃতীয় প্রান্তিকে নেমে আসে মাত্র ১৪ দশমিক ৬ শতাংশে। আর এই স্থান দখলে নেয় মূল প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রয়েডভিত্তিক স্মার্টফোনগুলো। বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুসারেই, আইফোনের চেয়ে কারিগরি, সফটওয়্যার কিংবা হার্ডওয়্যার; সব দিক দিয়েই যোজন-যোজন পিছিয়ে অ্যান্ড্রয়েডভিত্তিক স্মার্টফোনগুলো। কিন্তু এরা বাজার পাচ্ছে তুলনামূলক কম দাম এবং ক্রেতার চাহিদা বোঝার কারণে। আবার গত বছর আইফোনের মাত্র একটি মডেল বাজারে এসেছে। যেখান স্মার্টফোনের বাজারে তাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী স্যামসাং নিয়ে এসেছে বিভিন্ন দামের ৩৭টি মডেল।

অ্যাপলের আইটিউন কিংবা অ্যাপস্টোরে কোনো অ্যাপ-মিউজিক আপলোড করতে প্রচুর হ্যাপা পোহাতে হয় এগুলোর স্বত্বাধিকারীকে। কারণ প্রতিটি পণ্যই হওয়া চাই অ্যাপলের মানদণ্ডে সম্পূর্ণভাবে উত্তীর্ণ। প্রতিটি পণ্যই অ্যাপলের পরীক্ষকরা পরীক্ষা করেন দীর্ঘসময় ধরে। এমনকি মাস বছরও ঘুরে যায় এই পরীক্ষা শেষ হতে। তাতে ডেভেলপার কিংবা মিউজিশিয়ানের উত্সাহ ভাটা পড়ে বৈকি। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে এ সমস্যা নেই। পরীক্ষা-নিরীক্ষার বালাই নেই, অ্যান্ড্রয়েডের উপযোগী হলেই সেগুলো আপলোড করার অনুমতি মেলে। এ কারণেই আইফোনের জন্য উন্নয়ন করা আইমিটের মতো দারুণ কার্যকর ও ক্লিয়ার ভিডিও কনফারেন্সিং প্রোগ্রাম ছাড়া হয়েছে অ্যান্ড্রয়েডে। আর আইফোনে সেটা কবে যোগ হবে, তা কেউই বলতে পারে না। লাইফপ্রুফ আইফোনের জন্য তৈরি করেছিল অত্যন্ত পাতলা এবং হালকা ঝাঁকুনি ও জল নিরোধক কেসিং। কিন্তু অ্যাপলের অনুমতি না মেলায় পুরো প্রকল্পই বাতিল করতে বাধ্য হয় কোম্পানিটি।

এদিকে আবার হঠাৎ করে ৩০ পিনের বদলে ৮ পিনের অ্যাডাপ্টার দিয়ে আইফোন-৫ বাজারে ছাড়ে অ্যাপল। আর তাতে ব্যাপক সমস্যায় পড়ে গেছে আইফোনের জন্য খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। তাদের কোটি কোটি ডলারের মজুদ এখন সে ফ বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অ্যাপল অবশ্য এ সমস্যার সমাধান দিয়েছে কনভার্টার বের করে। কিন্তু সেই কনভার্টার ব্যবহার করতেও অনেক অর্থকড়ি গুনতে হবে ব্যবহারকারীকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটা সময় পর্যন্ত অ্যাপলের এই অতি রক্ষণশীল মনোভাব ক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষা করেছে ঠিকই। কিন্তু খুব বেশি দিন নয়। খোলসের ভেতরে গুটিয়ে থাকার পুরনো অভ্যাসের কারণে নিজেদের রমরমা বাজার হারিয়ে যেতে দেখতে হতে পারে তাদের। ঠিক যেমনটি তারা দেখেছিল ১৯৮০’র দশকে। এজন্য রক্ষণশীলতার বদলে অপেক্ষাকৃত উদার মনোভাব নিয়ে হার্ডওয়্যার-সফটওয়্যার ডেভেলপারদের সঙ্গে কাজ করতে অ্যাপলকে পরামর্শ দিয়েছেন তারা। তাতে আখেরে অ্যাপলেরই লাভ হবে।



পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
বাংলাদেশের বাজারে এআই চালিত গিগাবাইটের ইন্টেল ১৪ জেনারেশন ল্যাপটপ
কালার চেঞ্জিং গ্লাস আসছে ভিভোর নতুন স্মার্টফোন ভি৩০ লাইট
রিভ চ্যাটের নতুন ভার্শনে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং ও লাইভ চ্যাট এখন ওয়েবসাইটে
থাইল্যান্ডের এআইটি’র সাথে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির এমওইউ
বাংলাদেশে ইন্টেলিজেন্ট এর অফিস উদ্বোধন
এআই অলিম্পিয়াডে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ
ভিসার বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ
বছরের প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় ৩৯৩২.৯ কোটি টাকা
নতুন দামে টেকনো স্পার্ক২০সি
টেন মিনিট স্কুলের কোর্স ফি-তে বিকাশ পেমেন্টে ২০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক