রবিবার ● ২৪ জুন ২০১২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » হালকা প্রকৌশল শিল্পের জন্য এসইজেডে বরাদ্দ দাবি
হালকা প্রকৌশল শিল্পের জন্য এসইজেডে বরাদ্দ দাবি
সরকার যেসব বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) গড়ে তুলছে, তাতে হালকা প্রকৌশল শিল্পের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার দাবি করেছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা।
এ ছাড়া গুরুত্ব বিবেচনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা অকৃষি জমিতে হালকা প্রকৌশল শিল্পের জন্য আলাদা শিল্পনগর গড়ে তোলারও দাবি করেছেন তাঁরা।
রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) মিলনায়তনে গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত ‘হালকা প্রকৌশল শিল্পের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে ব্যবসায়ীরা এসব দাবি তুলে ধরেন।
বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের সহায়তায় সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতি। সমিতির সভাপতি আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে সেমিনারে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া প্রধান অতিথি ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ বিশেষ অতিথি ছিলেন।
ব্যবসায়ীদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শিল্পমন্ত্রী বলেন, সরকার যেসব শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলছে, তাতে হালকা প্রকৌশল শিল্পের উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
সেমিনারে জানানো হয়, দেশের প্রায় ৫০ হাজার হালকা প্রকৌশল কারখানায় আট লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এ খাত থেকে বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকার পণ্য উৎপাদন হয়, যার ৯০ শতাংশই দেশে ব্যবহূত হয়। তার পরও বাংলাদেশ থেকে ২০১০-১১ অর্থবছরে ৩১ কোটি এবং চলতি অর্থবছরে ২২ কোটি ২০ লাখ ডলারের প্রকৌশল পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
আলোচনা: সেমিনারে এ কে আজাদ বলেন, দেশের হালকা প্রকৌশল শিল্প-কারখানাগুলো বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। শিল্পায়নের স্বার্থে এগুলোকে নির্দিষ্ট এলাকায় এক করা জরুরি। তিনি বলেন, সরকার যে ছয়টি এসইজেড স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে হালকা প্রকৌশল শিল্পের জন্য অল্প মূল্যে জমি বরাদ্দ রাখা দরকার।
এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, অবকাঠামো সমস্যার কারণে এ শিল্পের কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হচ্ছে না।
এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী হালকা প্রকৌশল শিল্পের জন্য রাজধানীর কাছাকাছি বিশেষ অঞ্চল (জোন) স্থাপনের প্রস্তাব করেন।
ব্যবসায়ী আবু নাসের বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাশে প্রচুর অকৃষি জমি পড়ে আছে। সেখানে হালকা প্রকৌশল শিল্পের জন্য শিল্পনগর করা যেতে পারে। প্রকৌশলী মো. সানাউল্লাহ বলেন, গাজীপুর এলাকায় প্রচুর জমি রয়েছে। সেখানেও এসইজেড হতে পারে। ব্যবসায়ী এনায়েত হোসেন চৌধুরী বলেন, বেসরকারি খাতেই বিশেষ অঞ্চল স্থাপন সম্ভব। এ জন্য সরকারকে জমি অধিগ্রহণ করে দিতে হবে।