
বৃহস্পতিবার ● ৩ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য পিএমসিসি ২০২৫ এর নিবন্ধন শুরু
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য পিএমসিসি ২০২৫ এর নিবন্ধন শুরু
ঢাকা বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য শুরু হয়েছে ‘পাবজি মোবাইল ক্যাম্পাস ক্লাব (পিএমসিসি) ২০২৫’-এর নিবন্ধন। এই গেমিং প্রতিযোগিতার আয়োজনে আছে স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স।
ধারণা করা হচ্ছে, ইনফিনিক্স বাংলাদেশের বাজারে আনতে যাচ্ছে জিটি সিরিজের প্রথম ফোন জিটি ৩০ প্রো। গেমারদের জন্য তৈরি এই ফোনে থাকতে পারে ‘অল-ডে ফুল এফপিএস পারফরম্যান্স’, ‘জিটি ট্রিগার’, উন্নত কুলিং সিস্টেম এবং শক্তিশালী প্রসেসর; যা দীর্ঘ সময় ধরে নির্বিঘ্নে গেম খেলার অভিজ্ঞতা দেবে।
এবারের পিএমসিসি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হলে কিছু শর্ত মানতে হবে। দলের সব সদস্যকে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়টি হতে হবে ঢাকা বিভাগের আওতাভুক্ত। অংশগ্রহণকারীদের বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী হতে হবে অথবা বৈধ স্থানীয় ভিসাধারী হতে হবে। নিবন্ধনের সময় শিক্ষার্থীদের জমা দিতে হবে আইডি কার্ড, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত প্রমাণপত্র অথবা সাম্প্রতিক টিউশন ফি জমার রসিদ।
এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন কেবল বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী কিংবা ২০২৫ সালে গ্র্যাজুয়েট হওয়া শিক্ষার্থীরা। পূর্ববর্তী ব্যাচের গ্র্যাজুয়েটরা এতে অংশ নিতে পারবেন না। একজন খেলোয়াড় কেবল একটি বিশ্ববিদ্যালয়কেই প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন। দলীয় নাম নিবন্ধনের সময়ই নির্ধারণ করতে হবে, যা পরে পরিবর্তন করা যাবে না।
অংশগ্রহণকারীদের সবাইকে পিএমএমসি বিডি ২০২৫- এর অফিশিয়াল ডিসকর্ড সার্ভারে যুক্ত থাকতে হবে, কারণ প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশনা ও যোগাযোগ এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেই পরিচালিত হবে। নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার পর দলগুলোকে গ্রুপভিত্তিক ভাগ করা হবে। সেখান থেকে সেরা ১৬টি দল পাবে চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ।
পিএমসিসি ২০২৫-এর পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হবে অনলাইন ও অফলাইন- উভয় ধাপে। বিস্তারিত তথ্য ও সময়সূচি ইনফিনিক্সের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পর্যায়ক্রমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে পাবজি মোবাইল গেমিং দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ প্রেক্ষাপটে পিএমসিসি ২০২৫ দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় মঞ্চ হয়ে উঠতে চলেছে। গেমিং প্রতিভা তুলে ধরার পাশাপাশি এই আয়োজন ক্যাম্পাসে ই-স্পোর্টস সংস্কৃতি গড়ে তোলার একটি ইতিবাচক উদ্যোগ হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।