
মঙ্গলবার ● ১২ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » গ্রামীণফোনের ‘এআই অ্যান্ড আই’ কর্মসূচি শুরু
গ্রামীণফোনের ‘এআই অ্যান্ড আই’ কর্মসূচি শুরু
এআই-ভিত্তিক টেলকো-টেক কোম্পানিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে ‘এআই অ্যান্ড আই’ নামের একটি কর্মসূচি শুরু করেছে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন। এ কর্মসূচীর দুটি লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে আরো সমৃদ্ধ করা এবং কর্মীদের ক্ষমতায়ন।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান এ প্রসঙ্গে বলেন, এআই অ্যান্ড আই অন্য সব কর্মসূচীর মতো নয়, এটি একটি অভিযাত্রার সূচনা। আমরা বিশ্বাস করি ভবিষ্যৎ শুধু এককভাবে এআই-এর ওপর নির্ভর করছে না, বরং এআই ও ব্যক্তি মানুষের যুগপৎ কার্যক্রম এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের প্রত্যেক কর্মীর কাছে এআই-এর সুবিধা পৌঁছে দেয়া হবে। ফলে গ্রাহকদের আরো বুদ্ধিদীপ্ত, সহানুভূতিশীল ও প্রাসঙ্গিক সেবা প্রদানে সক্ষমতা বাড়বে আমাদের। তিনি আরো বলেন, গ্রামীণফোনে আমরা এআই’কে শুধু একটি প্রযুক্তিগত রূপান্তর হিসেবে দেখি না। এটি মানবসম্পদেরও রূপান্তর। এআই অ্যান্ড আই-এর হাত ধরে গ্রাহকদের জন্য আরো স্মার্ট সেবা নিশ্চিত করবো আমরা; কারণ আমাদের মানবসম্পদ হয়ে উঠবে আরো স্মার্ট ও গতিশীল এবং নিশ্চিত হবে তাদের ক্ষমতায়ন।
নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে গ্রাহক সেবা ও বিপণন সকল কার্যক্রমে এআই অন্তর্ভুক্ত করছে গ্রামীণফোন। এর মাধ্যমে ৮ কোটি ৬০ লাখের বেশি গ্রাহকদের চাহিদা ও পছন্দ অনুযাযী আরো স্মার্ট, দ্রুত সেবা প্রদান করছে কোম্পানিটি। ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রত্যেক গ্রাহকের প্রয়োজন ও পছন্দ অনুযায়ী অফার প্রদান, কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ইন্টেলিজেন্ট এইচআর বটের ব্যবহার এবং উন্নতমানের সেবা নিশ্চিত করতে এআই-ভিত্তিক নেটওয়ার্ক অপটিমাইজেশন।
বাংলাদেশে পথিকৃৎ হিসেবে সিসকোর সহযোগিতায় এবং এনভিআইডিআইএ জিপিইউ প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের প্রথম এন্টারপ্রাইজ উপযোগী ‘এআই ফ্যাক্টরি’ চালু করেছে গ্রামীণফোন। এর ফলে উচ্চ গতির এআই মডেলের উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। পাশাপাশি সকল কর্মীদের জন্য এআই ট্রেনিং নিশ্চিত করছে কোম্পানিটি। কর্মীদের মধ্য থেকে এআই সল্যুশন বের করে আনতে চালু করা হয়েছে ‘জিপি আইডিয়াথন’, যাতে প্রতিষ্ঠানের সব পর্যায় থেকে উদ্ভাবনের ধারা নিশ্চিত হয়।
অত্যাধুনিক অবকাঠামো, কৌশলগত ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা এবং কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির এই সমন্বয় শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো অঞ্চল জুড়ে ভবিষ্যতের এআই-ভিত্তিক টেলিযোগাযোগে গ্রামীণফোনের নেতৃত্বের সাক্ষ্য বহন করে।