
বুধবার ● ১৩ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » শেষ হলো বিডিঅ্যাপস ইনোভেশন সামিট: চ্যাম্পিয়ন ডা. চাষী, রানার্সআপ চিঠিডটমি
শেষ হলো বিডিঅ্যাপস ইনোভেশন সামিট: চ্যাম্পিয়ন ডা. চাষী, রানার্সআপ চিঠিডটমি
রবি আজিয়াটা পিএলসি’র আয়োজনে শেষ হলো বিডিঅ্যাপস ইনোভেশন সামিট। এই আয়োজনের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী অ্যাপ তৈরি করে বিডিঅ্যাপস পরিবারে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন মেধাবী ডেভেলপাররা। গত ১২ আগস্ট রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে শীর্ষ ১০টি টিম তাদের আইডিয়া উপস্থাপন করে। এরপর সন্ধ্যায় বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেয়া হয়।
প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে ডা. চাষী, দ্বিতীয় হয়েছে চিঠিডটমি এবং তৃতীয় হয়েছে শুটার এক্স। বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী, বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবুবকর সিদ্দিক, রবি’র এক্টিং সিইও এম. রিয়াজ রাশীদ, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমাদ।
শীর্ষ ১০টি টিমের মধ্যে আরো ছিল: নার্ডব্রো, পাউবাড্ডি, বার্তা, শিখি এআই, ডায়েট কোচ, লিফমেড এবং এইস আইটি।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী বলেন, প্রতিনিয়ত ডিজিটাল জীবনধারার বিকাশ হচ্ছে। এর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী স্থানীয় অ্যাপ ডেভেলপ করার বিকল্প নেই। দেশব্যাপী মেধাবী ডেভেলপারদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দেয়ার জন্য আমি রবিকে ধন্যবাদ জানাই। দেশকে প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে নিতে তাদের এ ভূমিকা অব্যহত থাকবে বলে আমার প্রত্যাশা।
রবি আজিয়াটা পিএলসি’র এক্টিং সিইও এম. রিয়াজ রশীদ বলেন, আগামীর বিশে^ টিকে থাকতে এবং এগিয়ে যেতে হলে প্রযুক্তির বিকল্প নেই। তাই আমাদের তরুণ প্রজন্ম যত প্রযুক্তিবান্ধব হবে এবং এক্ষেত্রে তাদের মেধাবিকাশের সুযোগ পাবে ততই আমাদের অগ্রগতি নিশ্চিত হবে। তাই দেশব্যাপী মেধাবী তরুণরা যেন ব্যবহারিক অ্যাপ ডেভেলপ করে তা ছড়িয়ে দেয়ার সুযোগ পান এজন্য এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশব্যাপী রোডশোয়ের মাধ্যমে গত মে মাসে শুরু হয় বিডিঅ্যাপস ইনোভেশন সামিটের কার্যক্রম। এরপর অনলাইনে কৃষি, ডিজিটাল শিক্ষা, গেমিং, প্রাণী সুরক্ষা সহ বিভিন্ন খাতের জন্য ১৩শ’র বেশি আইডিয়া জমা পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ফ্রিল্যান্সার সহ সৃজনশীল তরুণরা এই আয়োজনে অংশ নেন। আগ্রহীদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত ২৫টি আইডিয়া প্রদানকারীদের তাদের ধারণা উপস্থানের সুযোগ দেয়া হয়। সেখান থেকে বাছাই করা সেরা ১০টি আইডিয়ার মধ্যে হয় চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা।