রবিবার ● ২৪ জুলাই ২০১১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সেপ্টেম্বর থেকে ডিএসইতে নতুন সফটওয়্যার : ঘরে বসে লেনদেন করতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা
সেপ্টেম্বর থেকে ডিএসইতে নতুন সফটওয়্যার : ঘরে বসে লেনদেন করতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বর্তমান ট্রেডিং সফটওয়্যার টেসার পরিবর্তে এমএসএ প্লাস সফটওয়্যারে লেনদেন কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে নতুন এ সফটওয়্যারে লেনদেন শুরু হতে পারে বলে ডিএসই কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করছেন। অবশ্য ডিএসইর সিনিয়র সহ-সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু জুলাই মাস থেকেই নতুন সফটওয়্যারের মাধ্যমে লেনদেন শুরু হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু নানা কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। নতুন এ সফটওয়্যারে লেনদেন চালু হলে বিনিয়োগকারীরা ঘরে বসেই শেয়ার লেনদেন কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ক্রয় এবং বিক্রির আদেশ দিতে পারবেন। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে বসেই লেনদেন কার্যক্রমে অংশ নেয়া যাবে। লেনদেন করতে ব্রোকারেজ হাউসে তাদের আর দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না বিনিয়োগকারীদের। একজন বিনিয়োগকারী যে ব্রোকার হাউসের মাধ্যমে লেনদেন করবেন সে হাউস থেকে একটি কোড নম্বর নেবেন এবং এই কোড নম্বরের মাধ্যমে লেনদেনে অংশগ্রহণ করবেন।
জানা গেছে, নতুন সফটওয়্যারটির মাধ্যমে যাতে ব্রোকারেজ হাউজের সংশ্লিষ্টরা লেনদেন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারে সেজন্য তাদের প্রশিক্ষিত করে তোলা হয়েছে। আর গত ২০ জুলাই মধুমিতা হলের ডিএসই ট্রেনিং একাডেমিতে শুরু হয়েছে ব্রোকারেজ হাউসের অনুমোদিত প্রতিনিধিদের মক ট্রেডিং কার্যক্রম। ২১ কার্যদিবস পর্যন্ত মক ট্রেডিং চলবে। মক ট্রেডিং সম্পন্ন হওয়ার পর সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হবে নতুন সফটওয়্যারের মাধ্যমে লেনদেন। এদিকে মক ট্রেডিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করে ডিএসই প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী বলেন, এই সফটওয়্যার চালুর ফলে লেনদেনের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা নিজেরাই নিজেদের নিয়ন্ত্রক হতে পারবেন। নতুন এই সফটওয়্যার চালুর ফলে বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে বিনিয়োগকারীরা তাদের লেনদেন সংক্রান্ত সব তথ্য জেনে শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন। ফলে পুঁজিবাজারে আরও বেশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে। এই সফটওয়্যারের বিশেষ সুবিধা হলো বিনিয়োগকারীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাই অর্ডার এবং সেল অর্ডার দিতে পারবেন। এমএসএ-প্লাস সফটওয়্যারে একজন বিনিয়োগকারীর কী পরিমাণ টাকা বা শেয়ার জমা রয়েছে তা উল্লেখ থাকবে। তাই কোনোভাবেই অতিরিক্ত শেয়ার কেনাবেচা করা সম্ভব হবে না। ডিএসই’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আহসানুল ইসলাম টিটো বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই এই পদ্ধতিতে লেনদেন সম্পন্ন হচ্ছে। এখানে প্রধান বিষয়টি হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের সরাসরি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পৃক্ততা। তিনি আরও বলেন, যদি ক্রয় বা বিক্রয় আদেশে কোনো ভুল থাকে তা বিনিয়োগকারীরা ফোনের মাধ্যমে সংশোধন করতে পারবেন। মক ট্রেডিং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএসই’র প্রেসিডেন্ট, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শাহজাহান, ডিএসই’র পরিচালক আহমেদ রশিদ লালী, পরিচালক জনাব শরীফ আতাউর রহমান, পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, ডিএসই’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সতীপতি মৈত্র, চিফ অপারেটিং অফিসার ব্রিগে. জেনারেল মো. জহুরুল আলম, (অব.) এবং প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা এএসএম খায়রুজ্জামান।