সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, মে ৬, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
বৃহস্পতিবার ● ২৩ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » মানের প্রশ্নে সরকারি ৫০০ অ্যাপের বিল পরিশোধ হয়নি আজও
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » মানের প্রশ্নে সরকারি ৫০০ অ্যাপের বিল পরিশোধ হয়নি আজও
৭২০ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ২৩ মে ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মানের প্রশ্নে সরকারি ৫০০ অ্যাপের বিল পরিশোধ হয়নি আজও

---
সরকারের ৫০০ অ্যাপ তৈরি ও উদ্বোধনের পর পেরিয়ে গেছে প্রায় তিন বছর। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের অধীনে অ্যাপ তৈরি হলেও এই তিন বছরে সমাধান হয়নি অনেক বিষয়ের। এসব অ্যাপের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল সে সময়। সেই মান আজও ভালো হয়নি। অ্যাপ তৈরিতে অবহেলার অভিযোগে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের বিল সে সময় আটকে দেওয়া হয়েছিল। সেই বিল পরিশোধ হয়নি আজও। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে অ্যাপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অ্যাপগুলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই। অ্যাপগুলোর মধ্যে রয়েছে- বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার তথ্য ও সেবা পাওয়া সংক্রান্ত ৩০০টি এবং ২০০টি সৃজনশীল ধারণার অ্যাপ। আরও আছে এনবিআরের ই-টিআইএন, ভ্যাট ও নন ভ্যাট পণ্য যাচাই, বাংলাদেশ বিমান ও বাংলাদেশ রেলওয়ের সময় সূচি, বিনিয়োগ বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন স্ট্যাটাস পরীক্ষা, জাতীয় পরিচয়পত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র (ন্যাশনাল স্মার্ট কার্ড), সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ, ট্যাক্স ক্যালকুলেটর, প্রাইজবন্ড ইত্যাদি অ্যাপ।

প্লে-স্টোরে ঘেঁটে দেখা যায়, কয়েকটি অ্যাপ ছাড়া অন্যগুলোর ডাউনলোডের হার খুবই কম। তবে কিছু অ্যাপের ডাউনলোডের হার ভালো। ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরনের মন্তব্যই পাওয়া গেছে অ্যাপগুলোর নিচে। তবে নেতিবাচক মন্তব্যই বেশি। বেশির ভাগেরই অভিযোগ- অ্যাপগুলো অকার্যকর, তথ্য কম, ঠিক মতো কাজ করে না, অনেকটা ওয়েব সাইটের মতো ইত্যাদি। যে প্রয়োজন আর লক্ষ্য নিয়ে অ্যাপ তৈরি হয়েছিল, তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমরা অ্যাপ তৈরির দায়িত্ব দিয়েছিলাম ইএটিএল নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে। ওই প্রতিষ্ঠান অ্যাপগুলোর মানের ব্যাপারে মনোযোগী ছিল না। ফলে প্রথম থেকেই অভিযোগ উঠেছিল। আমার স্পষ্ট মনে আছে, আমি ওই প্রতিষ্ঠানের বিলের বিপরীতে ৮০ লাখ টাকা আটকে দিয়েছিলাম। আরও অনেক বিলই পরিশোধ করা হয়নি।’

পলক আরও বলেন, ‘অ্যাপ তৈরির সময় (কাজ দেওয়ার সময়) এ বিষয়ে অনেকেই জড়িত ছিলেন। সে সময়ের আইসিটি বিভাগের সচিবও বিষয়টি ভালোভাবে জানতেন। কিন্তু এখন সব দোষ আমার ওপর এসে পড়েছে। সবাই আমাকে দোষারোপ করছেন।’ প্রতিমন্ত্রী এই প্রতিবেদককে অ্যাপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের (এথিক্স অ্যাডভান্সড টেকনোলজি লিমিটেড-ইএটিএল) প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
ইএটিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুবিন খানের সঙ্গে যোগোযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে চাইছি না। অনেক আগের একটা বিষয়। অনেক পুরনো ইস্যু এটা। কত টাকা পেলাম বা পেলাম না, এটা নিয়ে এখন আর আমি কনসার্ন না। আমি সরকারি আর কোনও প্রজেক্ট নিয়ে আগ্রহীও নই।’ এর বাইরে মুবিন খান আর কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
এরপর প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কেন তিনি (মুবিন খান) কথা বলবেন না। এর দায়ভার তো তিনি কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। অ্যাপগুলোর মানের ব্যাপারেও তিনিই দায়ী।’

প্রসঙ্গত, আইসিটি বিভাগ সরকারের জন্য প্রয়োজনীয় ৫০০টি অ্যাপ তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করে। এর জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয় জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল অ্যাপ প্রশিক্ষক ও সৃজনশীল অ্যাপ উন্নয়ন প্রকল্প। এর মধ্যে ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট তথা তৈরির জন্য। অ্যাপের ধারণা সংগ্রহের জন্য রাখা হয় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আর প্রশিক্ষণের জন্য রাখা হয় ৩ কোটি ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। অন্যদিকে, অ্যাপ সংক্রান্ত প্রচার-প্রচারণা বাবদ বিজ্ঞাপন, সভা-সেমিনার ইত্যাদির জন্যও বরাদ্দ রাখা হয়।

অ্যাপের নির্মাতা ইএটিএল (এথিক্স অ্যাডভান্স টেকনোলজি লিমিটেড) নামের প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে অ্যাপ তৈরির জন্য এক বছর সময় দেওয়া হয়। ২০১৫ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হয়। এ প্রকল্পে ৫০০ অ্যাপের মধ্যে সরকারের মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর জন্য ৩০০টি এবং প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পাওয়া সৃজনশীল ধারণা থেকে ২০০টি তৈরি করা হয়।
এর আগে অ্যাপের বিষয়ে জুনাইদ আহমেদ পলকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা সব অ্যাপই অনলাইনে দিয়ে দিয়েছি। এর মধ্যে ১০০টি অ্যাপ খুবই ভালো করছে। আর বাকি ৪০০ অ্যাপ পর্যবেক্ষণে রয়েছে। এগুলোতে প্রতিনিয়ত আপগ্রেডের কাজ চলছে।’

সবগুলো অ্যাপ গুগল প্লে-স্টোরে নেই জানানো হলে পলক বলেছিলেন, ‘আমাদের জানানো হয়েছে, ৪০০ অ্যাপ পর্যবেক্ষণে রয়েছে। ওদের পর্যবেক্ষণ শেষ হলে সবগুলো অ্যাপ গুগল প্লে-স্টোরে পাওয়া যাবে।’ তিনি জানিয়েছিলেন, ‘আইসিটি বিভাগের ন্যাশনাল ফাইভ হান্ড্রেড অ্যাপস ডট কম আইসিটি বিভাগের অ্যাপস্টোরে অ্যাপগুলো রয়েছে। ওখান থেকেও অ্যাপগুলো ফ্রি ডাউনলোড করা যাবে।’
গত কয়েকদিন অনেকবার চেষ্টা করেও ন্যাশনাল ফাইভ হান্ড্রেড অ্যাপস ডট কমে প্রবেশ করা যায়নি। গত ২০ ও ২১ মে-ও ছিল একই অবস্থা। সাইট পাওয়া যায়নি।



ডিজিটাল বাংলা এর আরও খবর

করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিপিও শিল্প খাত করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিপিও শিল্প খাত
করোনার ঝুঁকি নিয়ে সকল প্রকার ওয়াটার ফিল্টার পাইকারি ও খুচরা মুল্যে  ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশে হোম ডেলিভারি করছি- আজিজুল ইসলাম করোনার ঝুঁকি নিয়ে সকল প্রকার ওয়াটার ফিল্টার পাইকারি ও খুচরা মুল্যে ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশে হোম ডেলিভারি করছি- আজিজুল ইসলাম
বাংলাদেশে দ্রুত বিকাশ লাভ করছে ডিজিটাল অর্থনীতি, সব ধরনের সহযোগিতা করবে যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশে দ্রুত বিকাশ লাভ করছে ডিজিটাল অর্থনীতি, সব ধরনের সহযোগিতা করবে যুক্তরাজ্য।
আইওটি, বিগডাটা, রোবটিক প্রযুক্তির মহাসড়ক হচ্ছে ফাইভ-জি: মোস্তাফা জব্বার আইওটি, বিগডাটা, রোবটিক প্রযুক্তির মহাসড়ক হচ্ছে ফাইভ-জি: মোস্তাফা জব্বার
৭৭২ দুর্গম ইউনিয়নে যাচ্ছে দ্রুত গতির ইন্টারনেট ৭৭২ দুর্গম ইউনিয়নে যাচ্ছে দ্রুত গতির ইন্টারনেট
৩০ নভেম্বরের পর অবৈধ অনলাইন পোর্টালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: মুরাদ হাসান ৩০ নভেম্বরের পর অবৈধ অনলাইন পোর্টালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: মুরাদ হাসান
সেনাবাহিনীতে তথ্য প্রযুক্তির সুবিধা যথাযথভাবে কাজে লাগান: রাষ্ট্রপতি সেনাবাহিনীতে তথ্য প্রযুক্তির সুবিধা যথাযথভাবে কাজে লাগান: রাষ্ট্রপতি
অ্যাপিকটা পুরস্কার পেল জেনেক্স ইনফোসিস ও এটুআই অ্যাপিকটা পুরস্কার পেল জেনেক্স ইনফোসিস ও এটুআই
চার বছরে ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নয়নে শীর্ষ চারে বাংলাদেশ চার বছরে ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নয়নে শীর্ষ চারে বাংলাদেশ
৫০টি গ্রামকে ‘ডিজিটাল ভিলেজ’ হিসেবে গড়ে তুলবে সরকার ৫০টি গ্রামকে ‘ডিজিটাল ভিলেজ’ হিসেবে গড়ে তুলবে সরকার

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের জন্য আইডিয়া প্রকল্পের সার্টিফিকেট কোর্স
বিটিআরসিতে ডিজিটাল সেবার প্রদর্শনী
ফাইবার এট হোম-কে ১৫ বছরের জন্য লাইসেন্স নবায়ন করল বিটিআরসি
ইনোভেশন হাব থেকে বের হবে ইউনিকর্ন স্টার্টআপ
বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে গোল্ড কিনে সঞ্চয় করা যাচ্ছে ‘গোল্ড কিনেন’ অ্যাপে
বিসিএস এর নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ
কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি, নতুন আয়ের উৎস তৈরি এবং দক্ষতা বাড়াতে ভূমিকা রাখছে মোবাইল সংযোগ
কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চের মতে বাংলাদেশের শীর্ষ স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি
এশিয়া-প্যাসিফিকে শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী কোম্পানির তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে ইনফিনিক্স
এসসিবি-চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ডে সেরার স্বীকৃতি পেল আইফার্মার