
সোমবার ● ১২ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » বাংলাদেশ এআই সামিট ও হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ এআই সামিট ও হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের আয়োজনে গত ৮ মে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ এআই সামিট। আকিজ রিসোর্স ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসির পৃষ্ঠপোষকতা এবং ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই আয়োজনটি বাংলাদেশ ইনোভেশন কনক্লেভের একটি ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ।
এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিলো একটি সমন্বিত জাতীয় এআই কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সহায়তা করা। যার মধ্যে রয়েছে এআই-এর সম্ভাবনা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, সরকার, বেসরকারি খাত ও একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা, দক্ষ এআই পেশাজীবীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং নীতিগত দিকনির্দেশনা তৈরির পথ তৈরি করা।
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের ডিন মোহাম্মদ মুজিবুল হক। উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম এবং বাংলাদেশ ইনোভেশন কনক্লেভের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন আর শুধু প্রযুক্তির বিষয় নয়, এটি আমাদের জীবনের প্রতিটি খাতকে ছুঁয়ে যাচ্ছে। শিল্পকারখানা থেকে শুরু করে কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা থেকে শিক্ষা, প্রশাসন থেকে দৈনন্দিন জীবন- সবখানেই এআই এনে দিচ্ছে দ্রুত সমাধান, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও অগ্রগতির সম্ভাবনা। তবে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি আমাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সচেতন ব্যবহার ও সবার অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
প্রধান অতিথি হিসেবে আয়োজনটি উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিত শীষ হায়দার চৌধুরী। তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শুধু একটি প্রযুক্তি নয়- এটি সময়ের সবচেয়ে বড় রূপান্তরমূলক শক্তি। বাংলাদেশ এখন শুধু এআই গ্রহণ করতে চায় না, নেতৃত্ব দিতেও প্রস্তুত।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী। তিনি বলেন, এই আলোচনা আমাদের বুঝতে শিখিয়েছে, এআই একদিকে যেমন বিশাল সুযোগ এনে দিচ্ছে, অন্যদিকে তেমন কিছু গভীর চ্যালেঞ্জও সামনে আনছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি হচ্ছে- এই প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ কেমন হবে, তা নির্ভর করছে আমাদের আজকের সিদ্ধান্তের ওপর।
আয়োজনে ৪টি কিনোট সেশন, ২টি প্যানেল আলোচনা, ৫টি ইনসাইট সেশন, ২টি কেস স্টাডি ও ১টি ফায়ারসাইড চ্যাট নিয়ে বাংলাদেশ এআই সামিট সাজানো হয়। পাশাপাশি ৫টি ব্রেকআউট সেশনে বিশেষজ্ঞরা শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য, ফিনটেক ও শিল্পখাতে এআই এর অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক আলোচনা করেন।
দিনব্যাপী আয়োজনে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন মাইক্রোসফট (বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ ফারুক; ইউআইইউ এআইএমএস ল্যাবের ফাউন্ডার অ্যান্ড ডিরেক্টর প্রফেসর খন্দকার এ. মামুন; সেলসফোর্স ইন্ডিয়া’র ভাইস প্রেসিডেন্ট অব সেলস কামাল কান্ত; কগনিকো এআই কনসালটিং অ্যান্ড এনএল ইটস কমিউনিটি আউটরিচ ইনক এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মেহনাজ তাবাসসুম; কো-ফাউন্ডার ও চিফ ডেটা অ্যান্ড এআই অফিসার সাইফ আহমেদ; ইনস্টিটিউট অফ কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) প্রেসিডেন্ট মাহতাব উদ্দিন আহমেদ; বিডিজবস ডট কমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড বোর্ড মেম্বার ফাহিম মাশরুর; অ্যাঙ্করলেস বাংলাদেশের ফাউন্ডার অ্যান্ড ম্যানেজিং পার্টনার রাহাত আহমেদ; গ্রামীণফোন লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইয়াসির আজমান; বিটিআরসি কমিশনার মাহমুদ হোসেন; প্রাভা হেলথ এর সিইও মুহাম্মদ আব্দুল মতিন ইমন; ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি এর অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিওও ওসমান এরশাদ ফয়েজ; ভিসা (বাংলাদেশ, নেপাল অ্যান্ড ভুটান) এর কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ; মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি এর চিফ ডিজিটাল অফিসার খালিদ হোসাইন; পিডব্লিউসি’র কান্ট্রি ম্যানেজিং পার্টনার শামস জামান প্রমুখ।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার সমাপনী অধিবেশনে সামাজিক উন্নয়ন ও বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকেন্দ্রীকরণের গুরুত্ব তুলে ধরেন।