শেষ হলো দুই দিনের ‘ড্রয়েডকন বাংলাদেশ’ সম্মেলন

সবার মনোযোগ মঞ্চের দিকে। যেখানে আলোচনা হচ্ছে ‘মোবাইল টেস্টিংয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার’ নিয়ে আলোচনা। সারাবিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়ছে। মোবাইল টেস্টিংয়ের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পাচ্ছে এআইয়ের ব্যবহার। কী-নোট উপস্থানের মাধ্যমে সূক্ষভাবে তুলে ধরা হচ্ছে প্রযুক্তি বিষয়গুলো। অংশগ্রহণকারীরাও তাদের জ্ঞান সমৃদ্ধ করে নিচ্ছে এমন বিভিন্ন সেশনের মাধ্যমে। এমনই দেখা গেছে রাজধানীর ইন্ডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত অ্যান্ড্রয়েডের সবচেয়ে বড় কারিগরি সম্মেলন ‘ড্রয়েডকন বাংলাদেশ ২০২৫’ আয়োজনে। বাংলাদেশের অ্যাপ ডেভলপারদের দক্ষতা ও বৈশি^ক বাজারে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে ঢাকায় গত ২০ জুন শুরু হওয়া এ আয়োজন ছিলো প্রযুক্তি প্রেমিদের পদচারণায় মূখর।

সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিন ২১ জুন, সকাল থেকে শুরু হয় নির্ধারিত একাধিক আয়োজন। মোবাইল টেস্টিংয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ছাড়াও অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা, কটলিন মাল্টিপ্ল্যাটফর্ম ও ইঞ্জিনিয়ারিং নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দুই দিনের আয়োজনে জেটব্রেইনস, নেটিভওয়েবস, ওল্ট, ব্রেইন স্টেশন ২৩, চেক, পাঠাও এবং জেলেফের মতো দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষক, প্রযুক্তিবিদ, প্রোগ্রামাররা অংশ নিয়েছেন।

শেষ দিনে আলোচনায় প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে ১৩৭.৮ বিলিয়ন অ্যাপ ও গেমস ডাউনলোড করা হয়। ২০৩০ সালের মধ্যে এই বাজারের আর্থিক মূল্য ৬২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। বিশ্বজুড়ে অ্যাপ ডেভলপারের সংখ্যা ৫.৯ মিলিয়নের বেশি। বাংলাদেশি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভলপারের সংখ্যা বেশ কম।

আয়োজনের বিস্তারিত নিয়ে আয়োজক অস্ট্রিয়ার নেটিভ ওয়েবসের সিনিয়র অ্যান্ড্রয়েড প্রকৌশলী মহি-উস-সুন্নাত বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশের নবীন ডেভলপাররা অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে কাজ করতে এগিয়ে আসুক। বিশে^র অন্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে অ্যাপ ডেভলপার কম। বিশেষ করে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভলপার। আমরা এই আয়োজনের মাধ্যমে নবীন ডেভলপার ও আগামীতে যারা অ্যাপ ডেভলপমেন্টে ক্যারিয়ার গড়বেন তাদের দক্ষতা বাড়াতে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছি।