বৃহস্পতিবার ● ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » ঈদে যানজট নিয়ন্ত্রণে ইন্টারনেট প্রটোকল ক্যামেরা
ঈদে যানজট নিয়ন্ত্রণে ইন্টারনেট প্রটোকল ক্যামেরা
কোরবানীর ঈদ ও দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে সড়কে যানজট, বেপরোয়া গাড়ী চালানো এবং দুর্ঘটনারোধে ইন্টারনেট প্রটোকল (আইপি) ক্যামেরা পদ্ধতির উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১২টায় গাজীপুরের চন্দ্রা ত্রিমোড় অস্থায়ী পুলিশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষে এ পদ্ধতির উদ্বোধন করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার।
আইপি পদ্ধতির বিষয়ে তিনি বলেন, আসন্ন ঈদ ও দুর্গোৎসবে মহাসড়কে যাত্রী ও যানাবহনের চাপ বেড়ে যায়। ফলে যানচলাচলে নানা ধরণের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এসব সমস্যা কমিয়ে আনতে সহায়ক হিসেবে আইপি ক্যামেরা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভবিষ্যতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধীদের আইনের আওতায় নেয়া সহজ হবে। এ প্রযুক্তির বিস্তার ঘটিয়ে আগামীতে জনসেবার পরিধি আরও বাড়ানো হবে বলে জানান আইজিপি।
আইপি পদ্ধতি সময়োপযোগী প্রযুক্তি দাবি করে হাসান মাহমুদ বলেন, ‘প্রযুক্তি কখনো স্থায়ী হয় না, এটি চলমান। আগে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ব্যবহার করা হতো, এখন তা পুরনো হয়ে গেছে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তি পরিবর্তিত হয়। তাই যুগউপযোগী সেবা দেওয়ার জন্যই আইপি পদ্ধাতি স্থাপন করা হয়েছে।’
রাজধানী ও আশপাশের জেলাগুলোতে এ পদ্ধতি স্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘ঢাকা, গাজীপুর, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২০টি আইপি সার্ভার পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। সকল প্রকার যানজট নিরসনে আইপি প্রযুক্তি চলমান রাখতে ঈদের পরও এ প্রযুক্তিগুলো চলমান থাকবে।’
আইপি পদ্ধতির সুবিধার বিষয়ে গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, সিসিটিভি ক্যামেরা, প্রযুক্তি ক্যামেরা তারের সংযোগের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এ পদ্ধতিতে তদারক করতে হলে সার্ভার কক্ষে গিয়ে ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারের ডিসপ্লে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কিন্তু আইপি ক্যামেরা পদ্ধতি তারবিহীন। তবে সিসিটিভি পদ্ধতি এর একটি অংশ। আইপি ক্যামেরা পদ্ধতি ব্যবহার করে থ্রিজি সংযোগের মাধ্যমে একজন কর্মকর্তা নির্দিষ্ট গোপন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের যে কোনো জায়গা থেকে নিয়ন্ত্রণের আওতাভুক্ত এলাকা পর্যবেক্ষণ এবং তদারকি করতে পারবেন।
এ পদ্ধতির ফলে নির্দিষ্ট সময়ে কতগুলো গাড়ী পারাপার হচ্ছে-তা গণনা করা, কর্তব্যরত ফোর্স বা জনবলের প্রকৃত অবস্থান জানা, গাড়ীর ট্রাফিক নেইমপ্লেট পড়া ও আকৃতি সনাক্ত করাসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা পাওয়া যাবে।
এএসপি জানান, গাজীপুর জেলার যানজট প্রবণ চন্দ্রা এলাকায় পাঁচটি ক্যামেরা, চান্দনা চৌরাস্তায় পাঁচটি, শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তায় চারটি ও কালিয়াকৈর এলাকায় দুইটি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। গাজীপুরের পুলিশ সুপারসহ জেলার পুলিশ কর্মকর্তাগণ গোপন একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থ্রিজি সংযোগের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের আওতাভূক্ত এলাকা পর্যবেক্ষণ এবং তদারক করবেন।
তিনি জানান, গাজীপুরে ট্রাফিকের জন্য ৩০ জন কনস্টেবল, ৮ জন সার্জেন্ট একজন এএসপি নিয়োজিত রয়েছেন। জনবলের দিক থেকে এ সংখ্যা কম। কিন্তু আইপি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন আশাবাদী।