
শনিবার ● ১৭ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » বছরের প্রথম প্রান্তিকে আয় কমেছে রবির
বছরের প্রথম প্রান্তিকে আয় কমেছে রবির
মোবাইল ডাটার মূল্য হ্রাসের প্রভাব পড়েছে মোবাইল অপারেটর রবির আয়ে। পাশাপাশি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও চলমান অর্থনৈতিক স্থবিরতার কারণেও আর্থিক ফলাফলেও বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে রবি ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে তার আয়ের ৭০ শতাংশ সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ায় প্রভাবটি আরো প্রকট হয়।
গত ১৫ মে প্রকাশিত ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ওই প্রান্তিকে রবির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ২,৩৪১.১ কোটি টাকা, যা এর আগের প্রান্তিকের তুলনায় ০.৬% এবং আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭% কম। ভয়েস ও ডাটা- উভয় খাতেই আয় কমেছে প্রতিষ্ঠানটির। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রবির আয় কমেছে ভয়েসে ০.৭% এবং ডাটায় ১১.৪%।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে রবির আয়কর, অবচয় ও অ্যামর্টাইজেশন পূর্ববর্তী আয় (ইবিআইটিডিএ) ৪৭.৫% মার্জিন সহ দাঁড়িয়েছে ১,১১০.৯ কোটি টাকায়। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় এই প্রান্তিকে মার্জিন কমেছে।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির কর-পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) হয়েছে ১২৫.৫ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।
ডাটার দাম ধারাবাহিকভাবে কমে যাওয়া এবং মূল্যস্ফীতির চাপ ও পরিচালন ব্যয় বাড়ার কারণে রবির ইবিআইটিডিএ মার্জিন কমেছে। এর পাশাপাশি ও সরকারি কোষাগারে গত প্রান্তিকের তুলনায় বেশি অর্থ পরিশোধ করার কারণে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে পিএটি কমেছে রবির।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে রবির সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৬৪ লাখ, যা আগের প্রান্তিকের তুলনায় ৩.৭ লাখ ও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ লাখ কম। রবির ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৫ লাখ, আর ৪জি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ৬৭ লাখ। ৭৫.৫% সক্রিয় গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। আর সক্রিয় গ্রাহকদের ৬৫% ফোর-জি ব্যবহার করেন।
২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে রবি সরকারের কোষাগারে জমা দিয়েছে ১,৬২৭.৯ কোটি টাকা, যা ওই প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির মোট আয়ের ৭০%।
ওবির ভারপ্রাপ্ত সিইও এবং চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার এম রিয়াজ রশিদ বলেন, গত এক বছরে আমরা ডাটার দাম প্রায় ২০% কমিয়েছি। এর ফলে ডাটা ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখা গেলেও রবির রাজস্ব বৃদ্ধিও গতি ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। অর্থনৈতিক স্থবিরতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।