কম্পিউটার সোর্স এর ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন সাকিব

কম্পিউটার সোর্স এর ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। রোববার (২৪ জুন) রাতে রাজধানীর একটি অভিজাত আয়োজিত অনুষ্ঠানে কম্পিউটার সোর্স এর বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য ও সেবা প্রসারে সহযাত্রী হতে দুই বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন সাকিব। চুক্তিপত্র স্বাক্ষর ও বিনিময়েরর পর কম্পিউটার সোর্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এইচ এম মাহফুজুল আরিফ বলেন, ব্রান্ড অ্যম্বাসেডর হিসেবে আজ সাকিবের মতো একজন অলরাউন্ডার পেয়ে আমরা গর্বিত। এটি কম্পিউটার সোর্স এর জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে। আশা করছি পরম করুণাময়ের দোয়ায় সকিব ও কম্পিউটার সোর্স আগামীতে দেশের জন্য আরও কল্যাণ বয়ে আনতে সক্ষম হবে।
এসময় কম্পিউটার সোর্স পরিবারের সদস্য হতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সাকিব বলেন, আইপিএল-এ খেলতে যাওয়ার আগেই কম্পিউটার সোর্স এর ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হবার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। প্রযুক্তি সম্পর্কে আগ্রহ থাকায় আগে থেকেই প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে আমার জানা ছিলো। পরে খোঁজ নিয়ে জানলাম বিগত দুই বছর ধরে আমি নরটন এন্টিভাইরাসটি ব্যাবহার করছি সেটা তারাই বাংলাদেশে বাজারজাত করে। এ ধরনের অন্তত ৩৭টি ব্রান্ড ছাড়াও তাদের গ্রাহক সেবায় আমি মুগ্ধ। ফলে এই প্রস্তাবে রাজি হতে আর সময় নেইনি। প্রথম বৈঠকেই আমি রাজি হলাম। বুঝতে পারলাম, এটাও আমার জীবনে একটা পারফেক্ট ম্যাচ হতে যাচ্ছে।
এসময় কম্পিউটার সোর্স এর অলরাউন্ডার অফার-‘সাকিব যেমন, নরটনও তেমন’ ঘোষণা করেন সাকিব। কম্পিউটার সোর্স এর পক্ষ থেকে দেয়া এই অফারে প্রতিটি নরটন এন্টি ভাইরাসের সাথে ৮জিবি একটি অ্যাপাসার পেন ড্রাইভ ফ্রি দেয়া হবে বলে জানান তিনি। এসময় সকিব নিজের পক্ষ থেকেও একটি বিশেষ উপহার ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আগামী এক মাসে যারা নরটন কিনবেন তাদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ৩০ ক্রেতা এবং সর্বাধিক নরটন ডিলারের সাথে অভিজাত হোটেলে ডিনার করবো এবং সেই ফাঁকে আমার মজার কিছু স্মৃতি শেয়ার করবো ।
এদিকে চুক্তিস্বাক্ষরের পরই কম্পিউটার সোর্স ম্যানেজমেন্ট এর পক্ষ থেকে সাকিবকে একটি ম্যাকবুক এয়ার উপহার দেয়া হয়। এসময় হলুদ গেরুয়া পড়া ঢোলকদের আনন্দ বাজনায় মুখরিত হয় পুরো উইন্টার গার্ডেন। এরপর উপস্থিত দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন রুনা লায়লা। শ্রোতাদের পাশাপাশি সাকিবকেও নাচান তিনি। এর আগে কম্পিউটার সোর্স এর পরিচালক এসএম মুহিবুল হক এবং আসিফ মাহমুদ কম্পিউটার সোর্স এর প্রতিষ্ঠানের উত্তরণ সম্পর্কে আলোকপাত করেন। এর ফাঁকে ফাঁকে সাকিবের জীবনালেখ্য নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।