
রবিবার ● ৪ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » এআই ও সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত
এআই ও সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত
গত ৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গবেষনা প্রতিষ্ঠান ভয়েসেস ফর ইন্টারঅ্যাকটিভ চয়েস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট (ভয়েস) এর আয়োজনে ‘বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সাংবাদিকতার ভবিষ্যত” শীর্ষক এক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান যেন ২০২৪ সালের ন্যাশনাল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স পলিসি পরামর্শমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হয়।
অনলাইন এই আয়োজনে সাংবাদিক, সিভিল সোসাইটি সদস্য, মানবাধিকারকর্মী, আইন বিশেষজ্ঞ, প্রযুক্তিবিদ এবং গবেষকরা অংশগ্রহন করেন। এতে বক্তব্য রাখেন এঙ্গেজ মিডিয়ার প্রতিনিধি রেজওয়ান ইসলাম, আইসিএনএল-এর আইন পরামর্শক শারমিন খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক সাইমুম রেজা তালুকদার, ডিজিটালি রাইট-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক মিরাজ আহমেদ চৌধুরী, ডিজিটালি রাইট-এর গবেষণা সমন্বয়ক মিনহাজ আমান এবং দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার সাংবাদিক তাজুল ইসলাম।
ওয়েবিনারে তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের নিউজরুমে এআই টুলসের ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে, এতে নির্দিষ্ট কিছু কাজ অটোমেট করা যায় এবং কনটেন্ট দ্রুত প্রকাশ করা যায়, তবে প্রযুক্তিগত বিভাজন দূর করতে হবে এবং মিথ্যা সংবাদ ছড়িয়ে পড়া রোধে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
রেজওয়ান ইসলাম বলেন, এআই গবেষণার জন্য উপকারী এবং সময় বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে, তবে এটি একটি প্রবন্ধ লেখার কাজ করতে পারে না, কারন এর সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা এবং বিচারবোধ নেই। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, জনগণ মিডিয়ার ওপর আর বিশ্বাস রাখতে পারছে না। তাই, এআইকে ব্যবহার করে তথ্যের অপব্যবহার মোকাবিলা করা এবং ডেটা ক্রস-চেক করা জরুরি।
সাইমুম রেজা তালুকদার ওয়েবিনারে রাজনীতিবিদদের দ্বারা কীভাবে কিওয়ার্ড ফিল্টারিং এবং বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কনটেন্ট শ্যাডো-ব্যানিং হয় সে বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এআই বিধিমালা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৈরি করা উচিত, এতে স্থানীয় মূল্যবোধ এবং নীতি অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তিনি বাংলাদেশকে বৈশ্বিক এআই রেডিনেস ইনডেক্সে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
মিরাজ আহমেদ চৌধুরী কপিরাইট সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন এবং বলেন, এআই-এর ক্ষেত্রে কপিরাইট সমস্যাগুলো টুল-ভিত্তিক হবে, বিশেষকরে ডেরিভেটিভ বা নকল কনটেন্ট নিয়ে।
ভয়েস-এর নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ বলেন, এআই পলিসি তৈরি করতে সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী এবং সিভিল সোসাইটি প্রতিনিধিদের সাথে পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে এটি জনগণের জন্য উপযোগী হয়।
আলোচনায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে শিক্ষা এবং সচেতনতা তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি, কারণ এই প্রযুক্তির সঙ্গে মিথ্যা তথ্য, ডিপফেক, পক্ষপাতিত্ব, নজরদারি জড়িত এবং সাংবাদিকদের চাকরি হারানোর ঝুঁকিও বাড়ছে।