
বুধবার ● ২৭ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » ৭৫% সিএফও মনে করেন এআই এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়াবে: সেলসফোর্সের গবেষণা
৭৫% সিএফও মনে করেন এআই এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়াবে: সেলসফোর্সের গবেষণা
এশিয়া প্যাসিফিক (এপিএসি) অঞ্চলের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তারা (সিএফওএস) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাচ্ছেন। এখন তারা শুধু খরচ কমানোর জন্য নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি আয় বৃদ্ধির অন্যতম উপায় হিসেবে এআই-এ বিনিয়োগ করছেন। এআই প্রতিষ্ঠান সেলসফোর্সের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
২০২০ সালেও এশিয়া প্যাসিফিকের ৬৩ শতাংশ সিএফও এআই বিষয়ে রক্ষণশীল নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন, সেটি কমে এখন ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এআই নীতি নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক কর্মকর্তাদের দ্রুত এমন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন দেখাচ্ছে, এআই এখন আর নতুন প্রযুক্তি নয়, বরং এটি দক্ষতা বাড়ানো, কাজের প্রক্রিয়া উন্নত করা এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।
গবেষণার তথ্য বলছে, সিএফওদের প্রযুক্তিতে রিটার্ন অব ইনভেস্টমেন্ট (আরওআই) নিয়ে মূলধারার ভাবনা বদলানোই এই পরিবর্তনের কারণ।
এশিয়া প্যাসিফিকের অর্ধেক বা ৫০ শতাংশ সিএফও বলেছেন, স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারা এআই এজেন্ট এখন রিটার্ন অব ইনভেস্টমেন্টের মূল্যায়নের ধরন বদলে দিচ্ছে। প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ এখন শুধু প্রচলিত সফলতার মানদন্ডে বিচার করা হচ্ছে না, বরং একটি দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসায়িক সমৃদ্ধিকে দেখা হচ্ছে।
সেলসফোর্সের প্রেসিডেন্ট এবং চিফ অপারেটিং ও ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার রবিন ওয়াশিংটন বলেন, ডিজিটাল শ্রম শুধু প্রযুক্তিগত উন্নতি নয়, এটি সিএফওদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত পরিবর্তন। তিনি বলেন, এআই এজেন্টের মাধ্যমে আমরা কেবল ব্যবসার মডেল পরিবর্তন করছি না; আমরা সিএফও-দেও পুরো কাজের ক্ষেত্র নতুনভাবে তৈরি করছি। এর জন্য একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন, যেখানে আমরা কেবল আর্থিক দায়িত্বপালনকারী নই, ব্যবসার মূল্য সৃষ্টিকারী হিসেবেও ভূমিকা রাখতে চাই।
গবেষণায় উঠে এসেছে, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিএফওরা রক্ষণশীল থেকে আগ্রাসী এআই নীতিতে যাচ্ছেন। পাঁচ বছর আগে রক্ষণশীলনীতিতে ছিলেন প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বা ৬৩ শতাংশ সিএফও, যা দুই বছর আগে দাঁড়ায় এক-তৃতীয়াংশ বা ৩৩ শতাংশে। সেটি এখন কমে ৩ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিএফওরা তাদের এআই বাজেটের প্রায় এক-চতুর্থাংশ এআই এজেন্টে ব্যয় করছেন, যা তাদের খরচের চিন্তাকে পুরোপুরি বদলে দিচ্ছে। তারা বলছেন, তাদের এআই বাজেটের ২৩ শতাংশ এআই এজেন্টে ব্যয় করছে। গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, এআই এজেন্ট শুধু খরচ কমায় না, বরং রুটিন মাফিক ও কৌশলগত কাজের মাধ্যমে আয়ও বাড়ায়।
গবেষণায় অংশ নেয়া সিএফওরা বলেন, প্রচলিত প্রযুক্তি বিনিয়োগে সাধারণত তাৎক্ষণিক আর্থিক দিক বিবেচনা করা হয়, যা সহজে চোখে পড়ে। কিন্তু এআই-এর সুবিধা হলো স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি দুটোই। কেপিআই এখন ব্যবসার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই নির্ধারিত হচ্ছে।