সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, মে ৫, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
বুধবার ● ২ জানুয়ারী ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » ভাঙছে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের বাণিজ্যিক সম্পর্ক
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » ভাঙছে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের বাণিজ্যিক সম্পর্ক
৫৩২ বার পঠিত
বুধবার ● ২ জানুয়ারী ২০১৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ভাঙছে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের বাণিজ্যিক সম্পর্ক

ভাঙছে অ্যাপল-স্যামসাংয়ের বাণিজ্যিক সম্পর্কঅ্যাপল করপোরেশন এবং স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভেঙে পড়ছে। বিশ্বব্যাপী ৫০টিরও বেশি পেটেন্ট-সংক্রান্ত মামলা-পাল্টা মামলায় জড়িয়ে রয়েছে এ দুই কোম্পানি। এ কারণে অ্যাপলের খাতা থেকে কম্পিউটার চিপের শীর্ষ সরবরাহকারী হিসেবে স্যামসাংয়ের নাম কাটা পড়তে পারে। খবর ডেইলি বিস্টের।
এতে বেশিসমস্যায় পড়বে অ্যাপলের আইফোন এবং আইপ্যাডের মতো পণ্যগুলো। এগুলোর নকশা এবং সফটওয়্যার অ্যাপলের নিজস্ব হলেও হার্ডওয়্যারের সিংহভাগই স্যামসাংয়ের তৈরি। বর্তমানে প্রতিটি আইওএস যন্ত্রই স্যামসাংয়ের মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে চালিত। প্রতি বছর দক্ষিণ কোরীয় কোম্পানিটির কাছ থেকে এ ধরনের ২০ কোটি প্রসেসর কেনে অ্যাপল।
মোবাইল শিল্প গবেষণা প্রতিষ্ঠান অ্যাসিমকো জানায়, ২০১৩ সাল থেকে স্যামসাংকে সরবরাহ আদেশ দেয়া কমিয়ে দেবে অ্যাপল। ২০১৪ সালে তা একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থাৎ, স্যামসাংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও আসতে পারে এ সময়। তবে এতে শুধু অ্যাপল-স্যামসাংই নয়, পুরো মোবাইল শিল্পই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সাধারণ বিচ্ছেদ মামলায় ঘটনা ঘটার পরই আইনজীবীদের ডাক পড়ে। অ্যাপল-স্যামসাংয়ের ক্ষেত্রে আইনজীবীরাই বিচ্ছেদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের এক আদালত জানান, অ্যাপলের পেটেন্ট ভঙ্গ করেছে স্যামসাং। এ কারণে ১০৫ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দেয়া হয় স্যামসাংকে। স্যামসাং অবশ্য রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে বলেছে, এ রায় মার্কিন ভোক্তাদের জন্যই ক্ষতিকর।
বাস্তবে, অ্যাপলের পেটেন্ট ভাণ্ডার বিশাল। আর তাই, সেগুলোর কোনো একটি ভঙ্গ না করে স্মার্টফোনের নকশা করা আসলেই দুরূহ। কিন্তু স্যামসাংয়ের সাম্প্রতিক কিছু পণ্য দেখতে অ্যাপলের নকশার মতোই। সে কারণে আদালতের ভেতরে-বাহিরে এ নিয়ে চরম বিতর্ক চলছে।
গত আগস্টে স্যামসাংয়ের ১৭ ফোন এবং ট্যাবলেটের বিরুদ্ধে পেটেন্ট ভঙ্গের মামলা করে অ্যাপল। নভেম্বরে অ্যাপলকে সরবরাহ করা চিপের দাম ২০ শতাংশ বাড়িয়ে এর জবাব দেয় স্যামসাং। বর্তমানে স্যামসাংয়ের তৈরি ২৩ শতাংশ মাইক্রোপ্রসেসর সরাসরি যায় অ্যাপলের ঘরে। অ্যাপল অবশ্য এ কেনাকাটা এখন কমিয়ে দিয়েছে। তার বদলে ইউনিমাইক্রোন টেকনোলজি করপোরেশন এবং সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির মতো তাইওয়ানিজ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চিপ উত্পাদনের জন্য সলাপরামর্শ চালাচ্ছে বিশ্বের শীর্ষ কোম্পানিটি।
কিন্তু অ্যাপল-স্যামসাং সম্পর্ক ভেঙে গেলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ। স্বল্পমেয়াদে কয়েক শ কোটি ডলারের নিশ্চিত ব্যবসা হারাবে স্যামসাং। তবে এর মাধ্যমে নিজস্ব পণ্যের জন্য নতুন ধরনের চিপ তৈরিতে অধিক মনোযোগী হতে পারবে কোম্পানিটি। ডিজিটাইমসের গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৩ সালে অ্যান্ড্রয়েড যন্ত্রের জন্য চিপের সরবরাহ আদেশ বাড়বে ৩৬ শতাংশ। এবং আগামী বছর নাগাদ প্রতিটি যন্ত্রেই নিজস্ব প্রসেসর লাগাতে সক্ষম হবে স্যামসাং। তার মানে, ২০১২ সালের তুলনায় এ সক্ষমতা বাড়বে ২৭০ শতাংশ। এতে নিজেদের কাছেই নিজেদের চিপ বিক্রি করতে সক্ষম হবে প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যাপলের কাহিনী অবশ্য অন্য রকম। শত্রু-বন্ধু স্যামসাংয়ের বদলে চিপ তৈরির জন্য বড় আকারের সরবরাহকারী খুঁজে বের করতে হবে কোম্পানিটিকে। কিন্তু বিশ্বে খুব কম প্রতিষ্ঠানই আছে, যারা স্যামসাংয়ের মাত্রার উত্পাদনে যেতে সক্ষম। এমনকি ইন্টেলও এ কাজ করতে সক্ষম হবে না, কারণ এরই মধ্যে ম্যাকবুকের জন্য প্রসেসর সরবরাহ করতেই হিমশিম খাচ্ছে কোম্পানিটি। সে ক্ষেত্রে একাধিক কোম্পানির দ্বারস্থ হতে হবে অ্যাপলকে। তাতে চিপের মডেল, নকশা, মান এবং মূল্যেরও হেরফের হতে পারে। এতে সবচেয়ে সমস্যায় পড়বে অ্যাপলের চিপগুলোর পরিচয়। অ্যাপল পণ্যে ব্যবহূত চিপগুলো দেখতে একই রকম এবং তাতে কোনো নাম থাকে না। অ্যাপলের আই নামের সুনামও তাতে ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। বাস্তবে অ্যাপল-স্যামসাং উভয়ই তাদের নিজেদের গণ্ডির ভেতরেই আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাতে আবার নতুন করে নিজস্ব পণ্য নিজেই উত্পাদন করার মতো ব্যয়বহুল পথ বেছে নিতে হচ্ছে বিশ্বের শীর্ষ দুটি কোম্পানিকে। অ্যাপলের ইচ্ছা ছিল, ব্যবহারকারীকে দেয়া প্রতিটি পণ্য নিজে তৈরি করা। ইচ্ছা অনুযায়ী এখন যন্ত্রের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশও হয়তো তৈরি করতে হবে কোম্পানিটিকে।
প্রায় নতুন করে সবকিছু শুরু করতে হলে কর্মীদের ওপরও ব্যাপক চাপ তৈরি করতে বাধ্য হবে অ্যাপলের কর্তাব্যক্তিরা। তাতে থিংক ডিফরেন্ট স্লোগান কতটা অটুট থাকবে, বলা মুশকিল।
অ্যাপলের অবশ্য এর বাইরে তেমন কিছু করার নেই, যদি তাদের নীতিতে অটুট থাকতে হয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতা মোটেই সহ্য করতে পারে না অ্যাপল, নিজেদের পণ্যের ওপরেও শতভাগ কর্তৃত্ব করতে চায় তারা। অ্যাপলের প্রযুক্তি পরিবেশটা সাধারণ কিন্তু সুন্দর আর সত্যিকার অর্থেই প্রবেশনিষিদ্ধ একটি পদ্ধতি। কিন্তু এটাই তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে। অ্যাপল ম্যাপ দিয়ে গুগল ম্যাপকে আইওএস যন্ত্র থেকে সরাতে চেয়েছিল কোম্পানিটি। কিন্তু হিতে বিপরীত হয়ে গেলে গ্রাহকদের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয় তারা। কোম্পানিটি চায় গ্রাহকরা ক্যালেন্ডার চেক করবেন আইক্যাল দিয়ে (গুগল নয়), পড়ার জন্য ইনস্টাপেপারের বদলে ব্যবহার করবেন সাফারি, ক্লাউড ফাইল জমা রাখবেন এয়ারপ্লে সিস্টেমে (ড্রপবক্সে নয়)। আইটিউন থেকে ডাউনলোড করা গান থাকবে সুরক্ষিত, সহজে ব্যবহার করা যাবে শুধু অ্যাপল পণ্য থেকে। অ্যাপ স্টোরে স্বৈরশাসকের মতো আচরণ করে অ্যাপল। নিজেদের পছন্দের বাইরে কোনো অ্যাপ ঢুকতে পারে না এখানে।
বেশির ভাগ সময় অবশ্য ‘অল অ্যাপল, অল দ্য টাইম’ কৌশল কাজে দিয়েছে। কিন্তু কম্পিউটার যতই ব্যক্তিকেন্দ্রিক হচ্ছে, হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার ততই উন্মুক্ত হচ্ছে। তাই কোনো একক কোম্পানির পক্ষে সম্ভব নয় সবার জন্য উপযুক্ত সফটওয়্যার কিংবা হার্ডওয়্যারের নকশা করা। এমএস অফিসের বিকল্প এখনো হয়ে উঠতে পারেনি অ্যাপল এন্টারপ্রাইজ। এ রকম অবস্থা আরও বেশকিছু সেবার ক্ষেত্রে।
আর এ অবস্থায় যতই শত্রুতা থাকুক না কেন, স্যামসাংয়ের মতো বাজার বদলে দিতে সক্ষম কোম্পানির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করা অ্যাপলের জন্য কতটুকু মঙ্গলজনক, তা সময়ই বলতে পারবে; স্যামসাংয়ের ক্ষেত্রেও তাই। - এসবিবি



পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের জন্য আইডিয়া প্রকল্পের সার্টিফিকেট কোর্স
বিটিআরসিতে ডিজিটাল সেবার প্রদর্শনী
ফাইবার এট হোম-কে ১৫ বছরের জন্য লাইসেন্স নবায়ন করল বিটিআরসি
ইনোভেশন হাব থেকে বের হবে ইউনিকর্ন স্টার্টআপ
বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে গোল্ড কিনে সঞ্চয় করা যাচ্ছে ‘গোল্ড কিনেন’ অ্যাপে
বিসিএস এর নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ
কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি, নতুন আয়ের উৎস তৈরি এবং দক্ষতা বাড়াতে ভূমিকা রাখছে মোবাইল সংযোগ
কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চের মতে বাংলাদেশের শীর্ষ স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি
এশিয়া-প্যাসিফিকে শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী কোম্পানির তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে ইনফিনিক্স
এসসিবি-চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ডে সেরার স্বীকৃতি পেল আইফার্মার