সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, মে ৮, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
বুধবার ● ২৬ জুন ২০১৩
প্রথম পাতা » নিউজ আপডেট » গোল্ডেন লাইফের গ্রাহকদের ৯শত কোটি টাকা কোথায়? মালিক, এমডি; নাকি সিএফও’দের পকেটে? - গোল্ডেন লাইফ জালিয়াতি পর্ব-৬
প্রথম পাতা » নিউজ আপডেট » গোল্ডেন লাইফের গ্রাহকদের ৯শত কোটি টাকা কোথায়? মালিক, এমডি; নাকি সিএফও’দের পকেটে? - গোল্ডেন লাইফ জালিয়াতি পর্ব-৬
৫৫০ বার পঠিত
বুধবার ● ২৬ জুন ২০১৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

গোল্ডেন লাইফের গ্রাহকদের ৯শত কোটি টাকা কোথায়? মালিক, এমডি; নাকি সিএফও’দের পকেটে? - গোল্ডেন লাইফ জালিয়াতি পর্ব-৬

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ  চাই; আমরা বাঁচতে চাই-গ্রাহকদের আর্জি

mbari-1.jpg১৯৯৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর গোল্ডেন লাইফ অনুমোদন পায়। ২০০০ সালের মাঝামাঝি সময় বীমা বিক্রি শুরু করে। একই তারিখে ১১টি কোম্পানী অনুমোদন দেয় তৎকালিন সরকার। ১১টি কোম্পানীর মধ্যে গোল্ডেন লাইফ সারা দেশে ‘উৎপত্তি-চমক’ লাগায়- প্রধান কার্যালয়ে ২/৩ কোটি টাকার ডেকরেশন করে। ওভার কষ্ট্রিংয়ের কারনে প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও এমডি মোস্তাফিজুর রহমানকে চাকুরী হারাতে হয় ২০০১ সালের শেষের দিকে। এরপর দায়িত্ব নেয় এমডি মনিরুল হক। কিছুদিনের মধ্যে তাকেও বিদায় নিতে হয়। এরপর এমডি হিসেবে নিয়োগ পায় তৌহিদুল আলম। সে কোম্পানীটির ০ থেকে ৭০ কোটি টাকা এফডিআর করিয়ে তার সিএফও কর্তৃক কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করায় এবং মালিকদের মনতোষকভাবে টাকা দিতে না পাড়ায় চাকুরী ছেড়ে চলে যেতে হয়। এরপর মুফতি এম.এ. আজিজ; তারও ওভার কষ্ট্রিং (১৭০%) হওয়ায় তাকে চলে যেতে হয়েছে। এরপর এ.কে.এম. ইলিয়াস হোসেন এমডি হন। তৎকালিন চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান লস্কর সাহেবকে অবৈধ কোটি টাকা দিতে অস্বীকার করায় ৪/৫ মাস চাকুরী করে অন্য কারন দেখিয়ে চাকুরী ছাড়তে হয়। এরপর এ.কে.এম. শরিফুল ইসলাম চলতি দায়িত্বে থেকে প্রায় ১ বছর কোম্পানী চালায়। শরিফুল ইসলামের দায়িত্ব শেষ হয় ৭ অগাষ্ট-২০১২ তারিখ আর ৮ অগাষ্ট-২০১২ তারিখ দায়িত্ব নেয় আজকের বিতর্কিত এমডি এম. মাহফুজুল বারী।

—- এই দীর্ঘ সময়ে কোম্পানীটি ২০ হাজারের অধীক কর্মকর্তা দিয়ে গ্রাহক থেকে কালেকশন করেছে প্রায় ৯শত কোটি টাকা। গোল্ডেন লাইফ এর ৯শত কোটি টাকা কোথায়? এই প্রশ্ন নিয়ে আমাদের অনুসন্ধানী রিপোর্টারের কাছে হিসাব বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুনরায় বলেন, “দেখুন এফডিআর আছে ৭০ কোটি টাকা, গাড়ি আছে শতাধিক যার বর্তমান মূল্য ১০/১২ কোটি টাকা, ৩০ কাঠা জায়গার উপর যে ভবন তার বর্তমান মূল্য সর্বাধিক ১০০ কোটি টাকা, কুমিল্লায় একটি নিজস্ব ফ্ল্যাট আছে যার বর্তমান মূল্য হতে পারে ১ কোটি টাকা কিন্ত্ত উক্ত এফডিআরের বিপরীতে লোন নেয়া আছে অনেক টাকা। সর্বসাকূল্যে কোম্পানীর সম্পদ আছে সর্বোচ্চ ২শত কোটি টাকার। আর বাকী ৭শত কোটি টাকা কোথায় জানতে চাইলে সে বলতে গড়িমসি করে এবং যার জবাব আন্দোলনরত বিভাগীয় প্রধান কর্মকর্তারা জানায়।

তারা জানায়—-“আমরা আমাদের মালিকদের ফেরেস্তা সমান জানতাম। তারা প্রত্যেকে হাজার কোটি টাকার মালিক। তাদের নিয়ে আমরা গর্ব করতাম। একসময় জানতে পারি এই হাজার কোটি টাকার নামিদামী মানুষ গুলোর মধ্যে কয়েকজন টাকায় বিক্রি হওয়া মানুষ নামে অমানুষ। তারা টাকার ঘ্রানে যা খুশি তা করতে পারে। এই দলের মধ্যে আজিজুর রহমান ও মুনসেফ আলীই অন্যতম। কোম্পানীর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ৭/৮ জন এমডি এসেছে; কিন্ত্ত সকল এমডি’র সিএফও-ই পরিচালক আজিজুর রহমানের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রনে ছিল। তারা প্রত্যেকেই তাদের আখের গুছিয়েছে। বাকী ৭শত কোটি টাকা কোথায় এর জবাব, সরকার হস্থক্ষেপ করে দুদকের মাধ্যমে বিগত ৭/৮জন এমডি এবং তাদের প্রত্যেকের সিএফও’দের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মূল তথ্য বেরিয়ে আসবে। তবে এই লোপাট হওয়া টাকার অর্ধেকেরও বেশী আছে আজিজুর রহমান ও মুনসেফ আলীর নিকট। সিএফও নুর আমিন খান ও উজ্জল কুমার এর নিকট বাকী টাকার অর্ধেক এবং বাকী এক দেড়শ কোটি টাকা এমডি ও বাকী ৩/৪ জন পরিচালকদের পকেটে আছে। কোম্পানীর প্রকল্প পরিচালক সামছল আলম, আজিজ চৌধুরী এবং এইচআর মোস্তাফিজুর রহমান এরা প্রত্যেকে নূন্যতম ১০ কোটি করে টাকার মালিক। এই টাকা গুলো তারা আইটি ফাকি দিয়ে-অর্থ্যা ফিল্ড থেকে টাকা এনে কোম্পানীতে জমা না করে গোপানে আইটি এন্ট্রি করিয়ে এই টাকা আত্মসাৎ করেছে। এখনকার বরখাস্তকৃতদের কাছে টাকা আছে বলে মাহফুজুল বারীর দাবী নিয়ে তারা বলেন, থাকতে পারে। তবে আমরা জানিনা। শুনেছি তারা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে। মাহফুজুল বারী চ্যালেঞ্জ গ্রহন করুক। একত্রে বসে টাকা পয়সার হিসেব নিকেষ করুক। মাহফুজুল বারী ১১ মাসে খরচ করেছে নূন্যতম ২২ কোটি টাকা টাকা। ৪ মাসের ঘরভাড়া বাকী, এক হাজার প্রশাসনিক স্ট্যাফদের বেতন বাকী, ডেভেলবমেন্টে এক টাকারও কমিশন দেয়না। সব মিলিয়ে এরকম চলতে থাকলে আগামী ৭/৮ মাসে কোম্পানীটির সকল এফডিআর শেষ হয়ে বন্ধ হয়ে যাবে। মাহফুজুল বারী ২০১৩ সালের আজ ৬ মাস এর মধ্যে কোন ক্লোজিং করেনি, এক টাকার ব্যবসা কোম্পানীতে জমা হয়নি। মালিকরা এই অথর্ব, নিস্কর্মা লোকটাকে নিয়ে বেশী বাড়া বাড়ি করছে। গ্রাহকের টাকা না পেলে তাদের নিয়ে আমরা অচিরেই এই সকল মালিকদের বাড়ি ঘর ঘেড়াউ করবো। শতশত মাঠ কর্মীর গত এক বছরে কোন ব্যবসা না থাকায় কোন আয় নেই; যার কারনে হাজার হাজার পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করে। কেউ কেউ টাকা পয়সা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে, আর অধিকাংশ কর্মকর্তারা গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা তুলে তুলে কোম্পানীতে জমা দেয়া লাগছেনা বলে তা দিয়ে সংসার চালাচ্ছে। এভাবে গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা মাহফুজুল বারীর কারনে বর্তমানেও নষ্ট হচ্ছে। আমাদের কোন অভিভাবক নেই; সরকারও নির্বিকার। আমরা আজ বুঝতে পেরেছি, মাহফুজুল বারী আজিজ এবং মুনসেফ আলীর এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কোম্পানীকে চিরতরে বন্ধ করে দেয়ার জন্য এসেছে। এছাড়া কোম্পানীর কেন্দ্রিয় হিসাব বিভাগে, সেন্ট্রাল অডিট বিভাগে, সকল প্রকল্পের কমিশন ও হিসাব বিভাগে, সেন্টাল হিউম্যান রিচার্স বিভাগ এবং কারপুল বিভাগে যারাই চাকুরী করে তারা রাতারাতি বড়লোক হয়ে যায়। উক্ত বিভাগের অনেক অধস্থন কর্মকর্তাদের ২/৩ টা করে ফ্ল্যাট, ৫/৬টি করে টেক্সিক্যাব আছে এবং অনেকেই অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে এই কোম্পানীতে চাকুরী করে। সরকার যে কোন অডিট ফার্ম দিয়ে অডিট করালে বিষয়ের সকল সত্যতা পাবে। কোম্পানীর প্রশাসনিক ভিত কখনই শক্ত ছিলনা এবং মাহফুজুল বারীর আমলে তা চিরতরে শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে কোম্পানীটিতে মাঠ পর্যায়ে এবং প্রধান কার্যালয়ে এক অর্থে লুটপাট চলছে।” মাহফুজুল বারীর সাথে ইউটিসি ভবনে অফিস করেন এমন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার আশ্বাসের শর্তে জানান, “বিভাগীয় অনেক কর্মকর্তার সাথে স্যারের কথা হয়; তাদের অনেক প্রলোভন দেখিয়ে তিনি এখানে নিয়ে আসেন, গ্রুপিং তৈরী করেন, বরখাস্থকৃতদের বিরুদ্ধে ক্ষ্যাপান, মুসা স্যার এবং সুলতান স্যারের সম্পর্কে বাজে বাজে মন্তব্য করেন। অসৎ গ্রুপের নের্তৃত্বদানকারী মুসা ও সলতান স্যারকে এমডি স্যার চিরতরে দেখে তার পর চাকুরী ছাড়বেন। আমার ধারনা, মাঠ পর্যায়ের কোন কর্মকর্তা এমডি স্যারের সাথে ভাল করে মিলেনা। তারা আপতত স্বার্থ হাসিলের জন্য জি হুজুর জি হুজুর করে যাচ্ছে। কুমিল্লার এক বিভাগীয় কর্মকর্তা বলেছে, আমি কোনভাবে শ’খানেক পিআরবই নিতে পারলে হয়; ২/১ বছর খেতে পারবে। ১০০% জমা মর্মে স্যার যে সার্কূলার দিয়েছেন তা পেয়ে আপতত জিহুজুর জিহুজুরকারী তার বর্তমানের আপনরা অনেক ক্ষুব্ধ। তবে তিনি ব্যর্থ হয়ে কোম্পানী ছাড়বেন। স্যার খুব অল্প সময়ের মধ্যে ওমরাহ করার নামে যেতে পারেন, সেখান থেকে সে আমেরিকা যাবেন কিন্ত্ত সে আর নাও ফেরৎ আসতে পারেন। স্যার তার মেয়েদের খুব ভাল বাসেন এবং তারা চায় স্যার এই চাকুরী ছেড়ে দিক।” 

এদিকে আইডিআরএ সূত্রে জানা গেছে ২/৩ দিনের মধ্যে নতুন বেশ কয়েকটি কোম্পানী অনুমোদন পাবে। মাহফুজুল বারী নতুন আবেদিত কয়েকটি কোম্পানীতে চাকুরীর জন্য আবেদন করেছেন বলে জানা যায়। ডেসটিনি-২০০০ এর অর্থ আত্মসাৎ, সোনালী ব্যাংক-হলমার্ক কেলেঙ্কারী, বিভিন্ন ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট, বীমা প্রতিষ্ঠানের অরাজকতা এর মধ্যে নতুন অনুমোদন পাবে আরও বীমা কোম্পানী- কিহবে তারপর জানতে চাইলে আইডিআরএ পরিচালক জানান, আশা করি নতুন কোম্পানী মাকের্টে আসলে তাদের দেখাদেখি পুরাতনরা ভাল হবে।কিন্ত্ত সন্তোষজনক বা সবিস্তারে ব্যাখ্যা তিনি দেননি। 



পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
শপআপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগদান করলেন মামুন রশীদ
বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে আসছে ওয়ানপ্লাস
বাজারে আসুসের ৬টি নতুন ল্যাপটপ
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীদের বিশেষ কোটা চালুর কথা বললেন প্রতিমন্ত্রী পলক
মা দিবস উপলক্ষে ফুডপ্যান্ডার বিশেষ ক্যাম্পেইন
দেশের বাজারে লেনোভো আইডিয়াপ্যাড স্লিম ৩ আই সিরিজের ল্যাপটপ
দুবাই ফিনটেক সামিট ২০২৪ এ রিভ চ্যাট
বাংলাদেশের বাজারে ভিভো’র নতুন ফোন ভি৩০ লাইট
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৩ বছরের জন্য কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধির আহবান
স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের জন্য আইডিয়া প্রকল্পের সার্টিফিকেট কোর্স