
বুধবার ● ২০ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » নির্বাচনের আগে ব্যাংকিং সেক্টরে সাইবার নিরাপত্তা বড় চ্যালেঞ্জ: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
নির্বাচনের আগে ব্যাংকিং সেক্টরে সাইবার নিরাপত্তা বড় চ্যালেঞ্জ: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাংকিং সেক্টরে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দেশের মাত্র ১৭-২০টি ব্যাংকের সাইবার স্পেস রেটিং সন্তোষজনক। জনগণের ডেটা অনেক ক্ষেত্রে অনিরাপদভাবে উন্মুক্ত থাকে এবং কিছু ব্যাংক কর্মকর্তা সাইবার অপরাধের সাথেও জড়িত।’
গত ১৯ আগস্ট ঢাকার হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) এবং এনহ্যানসিং ডিজিটাল গর্ভণমেন্ট এন্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে ‘সাইবার সিকিউরিটি ইন ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর অফ বাংলাদেশ: সিকিউরিং দ্যা ডিজিটাল ফিউচার’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আর্থিক অপরাধ, জুয়া, সফটওয়্যার আপডেটের ঘাটতি, ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকলের দুর্বলতা, ডিডস আক্রমণ এবং ডেটা সেন্টারের ঝুঁকি এখন ব্যাংকিং সেক্টরের বড় হুমকি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বিদ্যমান সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে প্রশিক্ষণ জোরদার এবং আইটি ও ব্যবসায়িক ইউনিটের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর রহমান খান ব্যাংকের সাথে ডেটা বিনিময়ের মাধ্যমে কর আদায় সহজ করার প্রস্তাব করেন।
সিআইডি প্রধান মোঃ ছিবগাত উল্লাহ জানান, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ৮৮৪টি সাইবার অপরাধের অভিযোগ এসেছে এবং ব্যাংকগুলোর মামলা করতে অনীহা তদন্তে বাধা তৈরি করছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক সহ বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিরা প্রযুক্তিগত জটিলতা সমাধানে করণীয় বিষয়ে মতামত উপস্থাপন করেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী’র সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্য বক্তারা বলেন, দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শুধু ডিজিটাল ভবিষ্যতের সুরক্ষাই নয়, বরং জনগণের আস্থা ও আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।