শনিবার ● ১১ অক্টোবর ২০১৪
প্রথম পাতা » টিপ্স-এন্ড-ট্রিক্স » অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য ১০টি পরামর্শ
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য ১০টি পরামর্শ
অধিকাংশ ব্যবহারকারীর কাছেই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালানো সহজ। আর অ্যান্ড্রয়েড একটি উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় যে কেউ এতে ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করে পারে। আর এ কারণেই অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীদের সুযোগ রয়েছে একে মনের মতো করে সাজিয়ে নেওয়ার। এতে প্রয়োজন অনুযায়ী যেমন ব্যাটারি লাইফ বাড়ানো সম্ভব তেমন গতিও বাড়ানো সম্ভব। এ লেখায় থাকছে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য তেমন ১০টি টিপস।
১. পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্টের জন্য ‘গুগল নাও’
পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্টের প্রয়োজনে ব্যবহার করুন ‘গুগল নাও’ অ্যাপ। এজন্য গুগল অ্যাপে গিয়ে ‘গেট গুগল নাও’ লিখে ট্যাপ করলেই হবে। এরপর আপনার প্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন সেট করুন।
২. লাঞ্চার ও লক স্ক্রিন বদলান
প্রতিদিন একই আবহাওয়া উইজেট দেখে আপনি ক্লান্ত? গুগল প্লে স্টোর থেকে আপনি এমন অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন যা, আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারফেস বদলে দেবে। এজন্য অ্যান্ড্রয়েড লাঞ্চার ও লক স্ক্রিন রিপ্লেসমেনট সার্চ করুন।
৩.পাওয়ার সেভিংস মোড আনুন
আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস যদি প্রায়ই ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার সমস্যায় পড়ে তাহলে পাওয়ার সেভিংসের কথা ভাবতে পারেন। এজন্য সেটিংস মেনুতে গিয়ে পাওয়ার সেভিংস মোড অন করুন। কিছু অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে রয়েছে এজন্য নানা ফিচার। যেমন গ্যালাক্সি এসফাইভে রয়েছে আল্ট্রা পাওয়ার সেভিংস মোড। এর মাধ্যমে কল, টেক্সট, ইন্টারনেট ব্রাউজ ইত্যাদি সব কাজেই পাওয়ার সেভ করা সম্ভব। তবে সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনে পাওয়ার সেভিংস মোড নেই।
৪. অতিরিক্ত একটি ব্যাটারি রাখুন
প্রায় সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনেরই ব্যাটারির সমস্যা রয়েছে। আর সব সময় চার্জের ব্যবস্থাও হাতের কাছে থাকে না। এ সমস্যা অনেকাংশে সমাধান করা সম্ভব বাড়তি একটি ব্যাটারি ব্যবহার করে। চলার পথে ব্যবহার করতে করতে ব্যাটারি শেষ হয়ে গেলে চট করে এটি বদলে নেওয়া সম্ভব।
৫. গুগল অ্যাকাউন্টের সুবিধা নিন
আপনার গুগল অ্যাকাউন্টের সুবিধা নেওয়ার জন্য গুগল ক্রোম ব্রাউজারে লগইন করতে পারেন। এতে আপনার বুকমার্ক ও অগ্রাধিকারগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে।
৬. অ্যাপগুলো ফোল্ডারে সাজান
আপনার প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো ভিন্ন ভিন্ন ফোল্ডারে সাজিয়ে রাখুন। এর ফলে প্রয়োজনের মুহূর্তে অ্যাপ খুঁজে বের করার ঝামেলা কমে যাবে। ফেল্ডার তৈরির জন্য অ্যাপটির আইকনের ওপর আঙুল ধরে তা ড্র্যাগ করে উপরের বাম পাশে ‘ক্রিয়েট ফোল্ডার’-এ নিয়ে যান।
৭. থার্ড পার্টি কিবোর্ড
আপনার ডিফল্ট কি বোর্ডে যদি টাইপ করতে সমস্যা হয় তাহলে তা বদলে ফেলার সুযোগ রয়েছে। এজন্য গুগল প্লে স্টোরে বহু অ্যাপ পাবেন, যেগুলো ব্যবহার করে সহজেই টাইপ করা সম্ভব।
৮. ক্রোমে ব্যান্ডউইথ ম্যানেজমেন্ট ব্যবহার করুন
আপনার যদি ইন্টারনেটের ডেটার লিমিট দ্রুত শেষ হয়ে যায় তাহলে ক্রোমের ব্যান্ডউইথ ম্যানেজমেন্ট ব্যবহার করুন। এতে অপ্রয়োজনীয় ডেটা বাদ দিয়ে ব্যান্ডউইথের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা সম্ভব হবে। প্রয়োজনে ছবিগুলোও এটি ছোট ফরম্যাটে নিয়ে এসে ব্যান্ডউইথের সাশ্রয় করতে পারে।
৯. গুগল অ্যাকাউন্টের সুরক্ষায় অথেনটিকেটর ব্যবহার
আপনার গুগল অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত থাকলে গুগল অথেনটিকেটর ব্যবহার করুন। এটি দুই পর্যায়ে অ্যাকাউন্ট ভ্যারিফিকেশন করে। ফলে লগইন করার সময় পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি একটি কোডও জেনারেট করার প্রয়োজন হয়।
১০. ডিফল্ট অ্যাপস বদলান
কোনো লিংকে ক্লিক করলে যে ব্রাউজারে তা ওপেন হয় তা কি বদলাতে চান? এ ধরনের কাজে ব্যবহৃত ডিফল্ট অ্যাপ যদি বদলাতে চান তাহলে সেটিংসে গিয়ে অ্যাপ সংলগ্ন ক্লিয়ার ডিফল্ট বাটনে চাপ দিন।