সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, মে ১৯, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
সোমবার ● ৮ জুলাই ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি বিশ্ব » মহাকাশ আবর্জনা ধ্বংস করতে লেজার রশ্মি
প্রথম পাতা » আইসিটি বিশ্ব » মহাকাশ আবর্জনা ধ্বংস করতে লেজার রশ্মি
৪৮৬ বার পঠিত
সোমবার ● ৮ জুলাই ২০১৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মহাকাশ আবর্জনা ধ্বংস করতে লেজার রশ্মি

016766867_30100.jpg

পৃথিবীর কক্ষপথে আবর্জনার তালিকা তৈরি করে লেজার রশ্মি দিয়ে সেগুলি ধ্বংস করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে৷ আগামী এক দশকের মধ্যে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের উপযোগী হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশক যাবৎ দক্ষিণ অ্যামেরিকার ফরাসি গুইয়ানায় ইউরোপের মহাকাশবন্দর কুরু থেকে ছয় হাজারের বেশি কৃত্রিম উপগ্রহ কক্ষপথে পাঠানো হয়েছে৷ এককালে মহাকাশ মহাশূন্যই ছিল৷ এখন সেখানে পাঁচ লাখের বেশি ভাঙাচোরা যন্ত্রপাতির টুকরো ঘুরছে ঘণ্টায় আটাশ হাজার কিলোমিটার গতিতে৷ এগুলো হল পুরনো স্যাটেলাইট আর রকেটের টুকরো৷ মহাকাশে যা অকল্পনীয় বিপদ ঘটাতে পারে৷

জার্মান এয়ারোস্পেস সেন্টারের আডল্ফ গিসেন বলেন, ‘‘আমরা যদি এই মহাকাশ আবর্জনার বিরুদ্ধে কিছু না করি, তাহলে এমন একটা সময় আসবে, যখন আমরা স্যাটেলাইটগুলোকে কক্ষপথে রাখতেই পারব না৷ ইতিমধ্যে এই মহাকাশ আবর্জনা হালের স্যাটেলাইটগুলোর পক্ষেই বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ স্যাটেলাইট বিকল হয়ে যাচ্ছে, স্যাটেলাইটে-স্যাটেলাইটে ধাক্কা লাগছে৷ একদিকে হাজার খানেক স্যাটেলাইট রয়েছে কক্ষপথে৷ অন্যদিকে রয়েছে সাত লাখের মতো বিপজ্জনক লোহালক্কড়ের টুকরো৷”

জার্মান এয়ারোস্পেস সেন্টারে ঠিক এই সমস্যার সমাধান নিয়ে কাজ করছেন আডল্ফ গিসেন৷ তিনি একটি নতুন ধরনের লেজার ব্যবস্থা তৈরি করছেন, যা অত্যন্ত জোরালো ও নিখুঁত হবে৷ এই লেজারের সাহায্যে মহাকাশে আবর্জনা কমানো হবে৷
প্রথম কাজ হবে, পৃথিবীর চারপাশে যে সাত লাখের মতো টুকরো-টাকরা ঘুরপাক খাচ্ছে, সেগুলোর একটা তালিকা করা - যদিও কিছু টুকরোর আয়তন এক সেন্টিমিটারের বেশি নয়৷ দ্বিতীয়ত, ভূপৃষ্ঠ থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে ঘুরপাক খাওয়া আবর্জনার টুকরোগুলোর গতি কমানো হবে লেজারের কামান দিয়ে, যাতে সেগুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢোকার সময় জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে যায়৷
মহাকাশ আবর্জনার তালিকা তৈরি করাটাই কঠিন কাজ, কেননা মহাকাশে নিত্যনতুন পরিবর্তন ঘটছে, পরিস্থিতি পাল্টে যাচ্ছে৷ আডল্ফ গিসেন বলেন, ‘‘একদিকে স্যাটেলাইটগুলো ধ্বংস হচ্ছে৷ অন্যদিকে তার ফলে নতুন আবর্জনা সৃষ্টি হচ্ছে, যা বাকি স্যাটেলাইটগুলির জন্য বিপজ্জনক৷ এছাড়া মহাকাশ আবর্জনার টুকরোগুলোর কক্ষপথ প্রায়ই বদলে যায়, এক সপ্তাহ নজর না রাখলেই সেগুলো যে কোথায়, তা নতুন করে খুঁজে দেখতে হয়৷ কাজেই আমাদের সর্বক্ষণ নজর রাখতে হয়৷।একটি হাই-টেক গবেষণাগারে গিসেন ও তাঁর সহকর্মীরা তাঁদের লেজার কামান নিয়ে কাজ করছেন৷

মহাকাশ আবর্জনার টুকরোগুলোকে দিনরাত পর্যবেক্ষণ করার জন্য বিষুবরেখা বরাবর সারা পৃথিবী জুড়ে নজর রাখা চাই৷ এযাবৎ এ ধরনের কোনো বাইরের পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র নেই, কিন্তু সারা বিশ্বের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের সঙ্গে সহযোগিতার পরিকল্পনা চলেছে৷ আডল্ফ গিসেন বলেন, ‘‘শেষমেষ আমাদের লক্ষ্য হল আবর্জনা সরানো, যেটা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ৷ আজ যে ধরনের ছোট ছোট টুকরো ঘোরে, তা একমাত্র লেজার দিয়ে ধ্বংস করা সম্ভব৷ কিন্তু সেই লেজার তৈরি করতে দশ বছরের বেশি সময় লেগে যাবে৷

মহাকাশে আবর্জনা বেড়েই চলেছে৷ কিন্তু এভাবে বাড়তে থাকলে বহু ব্যবহৃত কক্ষপথগুলোতে সচল স্যাটেলাইটদেরও বিপদ ঘটতে পারে, দুর্ঘটনা ঘটতে পারে৷ আবার ধাক্কা এড়াতে গেলে জ্বালানি খরচা হয়৷ বর্তমানে এই সব কারণে বছরে প্রায় ১৪ কোটি ইউরো খরচ হয়৷

আজই প্রতি বছর একাধিক টন অচল স্যাটেলাইট বায়ুমণ্ডলে বাতাসের ঘর্ষণে ভস্মীভূত হয় ও মাটিতে ভেঙে পড়ে৷ ভবিষ্যতে যাতে তার প্রয়োজন না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করাই হল জার্মান গবেষকদের প্রচেষ্টা৷



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
মিরপুর ও এলিফ্যান্ট রোডে ৯৭৭টি অবৈধ স্মার্ট টিভি বক্স ও সেট টপবক্স জব্দ
সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য বাজেটে ৫’শ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব পলকের
শেষ হল যুব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় আইটি প্রতিযোগিতা ২০২৪
শাওমি বাংলাদেশের ডিস্ট্রিবিউটরস মিট অনুষ্ঠিত
শুরু হচ্ছে এ এস ইসলাম স্কুল অব লাইফ ২০২৪ এর অফলাইন পর্ব
অনলাইন কোরবানি হাট চালু করল বেঙ্গল মিট
টেলকো বীমা দাবি নিষ্পত্তি করলো বাংলালিংক ও গার্ডিয়ান
ভিভো ভি৩০ লাইটে ৮০ ওয়াটের চার্জার
কোক স্টুডিও বাংলার অফিশিয়াল এন্টারটেইনমেন্ট পার্টনার টিকটক
ডাক বিভাগকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা রাজস্ব দিল নগদ